মোং রিদুয়ান চৌধুরী
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা, চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে মঙ্গলবার, ৬ মে, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্ত্বরে কালো পতাকা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় পরিষদের সাবেক সদস্য ও ঢাকা মহানগর ছাত্রসেনার সাবেক সভাপতি শহীদ মাওলানা মুহাম্মদ রঈস উদ্দিন কাদেরীর নির্মম হত্যাকাণ্ড এবং ৫ মে আয়োজিত ছাত্রসেনার অবরোধ কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ আয়োজিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা রঈস উদ্দিন হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, দেশে সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে এক ভয়ংকর বাধা তৈরি করা হয়েছে। এখনো খুনিদের গ্রেফতার না করা এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বর্বরোচিত হামলা—রাষ্ট্রের নৈতিক ও মানবিক ব্যর্থতার চরম উদাহরণ।”
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জননেতা এম সোলায়মান ফরিদ। প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদুল আলম, এবং সভাপতিত্ব করেন ছাত্রনেতা মুহাম্মদ ওসমান। সঞ্চালনায় ছিলেন মাওলানা সোহাইল উদ্দীন আনসারী।
বক্তারা উল্লেখ করেন, “বিগত সময়ে পুলিশের সঙ্গে হেলমেটবাহিনী নামে পরিচিত একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে। এখনো সেই অপশক্তির ছায়া বিদ্যমান। গতকাল যারা ছাত্রসেনার নিরস্ত্র কর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।"
তারা গ্রেফতারকৃত ছাত্রসেনা কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, “রঈস উদ্দিন হত্যার বিচার এবং গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ছাড়া আন্দোলন থামবে না।”
সমাবেশে আগামী ৯ মে (শুক্রবার) বাদে জুমা দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। মিছিল হবে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত ও ছাত্রসেনার ব্যানারে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুন নবী আলকাদেরী, সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, মাওলানা এনাম রেজা, শাহজাদা নিজামুল করিম সুজন, মুহাম্মদ আলমগীর বঈদী, এইচ এম শহীদুল্লাহ, এনামুল হক সিদ্দিকী, মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলীল, আমান উল্লাহ, মঈনুদ্দীন কাদেরী, মুহাম্মদ নুরুদ্দীন কাদেরী, মুহাম্মদ বাহাউদ্দীন কাদেরী, সৈয়দ মুহাম্মদ তারেক, শফিউল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক হোসাইন, মোজাম্মেল হক শাহেদ, এনামুল হক মুন্না, মফিজুল আলম, জিকুসহ বহু নেতাকর্মী।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা জানিয়েছে—এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে তারা কোনো আপস করবে না, প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।