ভাঙ্গা(ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে বাড়িঘর সহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার(১০ জুন) সকালের উপজেলার আলগী ইউনিয়নের নাওরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুটির নাম তাহমিনা(৭)। সে আলগী ইউনিয়নের নাওরা গ্রামের রিকাত শেখের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলগী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালামের সঙ্গে ইউপি সদস্য মজিবর রহমানের সঙ্গে বিরোধ চলছে। সেই চলমান বিরোধের মধ্যে গতকাল সোমবার(৯ জুন) বিকেলে মজিবর মেম্বার গ্রুপের সমর্থক কাশেম মুন্সীর ছেলে রবিউল মুন্সীর মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে আবুল কালাম গ্রুপের রিকাত শেখের মেয়ে তাহমিনা গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভাংগা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবুল কালাম গ্রুপের লোকজন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে মজিবর মেম্বার গ্রুপের সমর্থকদের ৭ টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, রবিউল মুন্সীর মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শিশুটি মারা গেলেও আবুল কালাম গ্রুপের লোকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।
এঘটনায় মজিবর মেম্বার গ্রুপের বাবু মুন্সী, মজিবর মুন্সী, শহীদ মুন্সী, ফোরাত মুন্সী, মতিয়ার মুন্সী, হোচেন মুন্সী ও আলমগীর মাতুব্বরের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় বলে জানা যায়৷ পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
এবিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালামের বক্তব্য নিতে গেলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আশরাফ হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এবিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।