স্টাফ রিপোর্টার;
আজ ১২ জুন (২০২৫ ইং) মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই শেষ হয়ে গেল ২৪২টি প্রাণ, থেমে গেল শত শত স্বপ্ন। আহমেদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বিমানে থাকা সকল যাত্রী ও ক্রু। দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে, ঘটনাস্থলে পৌঁছানো উদ্ধারকারী দল অনেক দেহ চিহ্নিত করতেও ব্যর্থ হয়।
স্বপ্নের যাত্রা, মৃত্যুর গন্তব্য:
বিমানে থাকা প্রতিটি যাত্রী বহন করছিল একটি গল্প, একটি আশা, একটি উদ্দেশ্য। কেউ যাচ্ছিল লন্ডনে উচ্চশিক্ষার জন্য, কেউ যাচ্ছিল বহু বছর পর প্রবাসী সন্তানকে দেখতে। কারও হাতে ছিল প্রিয়জনের জন্য আনা উপহার, কারও চোখে ছিল দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসানের উচ্ছ্বাস।
কিন্তু কয়েক মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল।
বিমানটি উড্ডয়নের কিছু সময় পরেই প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হয়। পাইলট জরুরি অবতরণের চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। আগুনের লেলিহান শিখায় মুহূর্তেই পুড়ে যায় পুরো বিমানটি। উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শুধু ছাই আর ধ্বংসস্তূপ খুঁজে পান।
কান্না আর শূন্যতায় ভেঙে পড়া পরিবার পরিজন, বিমানবন্দরের বাইরে, হাসপাতালের মর্গে কিংবা দূরের শহর থেকে আসা আত্মীয়স্বজনের মুখে শুধু একটাই প্রশ্ন— “কেন?”
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নিহতদের পরিবার-পরিজন। সন্তান হারানো মা, স্বামী হারানো স্ত্রী, অথবা বন্ধুকে হারানো সহযাত্রী—সবার বুকজুড়ে এখন শুধুই শোক আর শূন্যতা।
সরকারি প্রতিক্রিয়া ও তদন্ত:
ভারতের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারের কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা