📰 নিউজ ডেস্ক
চুয়াডাঙ্গা বিএনপির অন্যতম সাহসী সংগঠক,
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক,
আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক,
কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য,
এবং
আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি
এমদাদুল হক ডাবু আর নেই।
তিনি ১৫ই জুন বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর নামাজে জানাজায় মানুষের ঢল নেমে আসে। চুয়াডাঙ্গার সর্বস্তরের মানুষ—বিএনপির নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ পর্যন্ত—ভিড় করেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
জানাজায় উপস্থিত সবাই বলেন, ডাবু ভাই ছিলেন শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, ছিলেন মানুষের বিপদের বন্ধু। তাঁর জানাজায় অংশ নিতে শত শত মানুষ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। এলাকাবাসীর কান্নাজড়ানো কণ্ঠে উচ্চারিত হয়, “আমরা আমাদের অভিভাবককে হারালাম।”
মরহুমের বড় ছেলে মো: মোহাইমেনুল হক আবির গণমাধ্যমকে জানান, “আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল—আলমডাঙ্গাবাসীর পাশে থাকা। তিনি সব সময় বলতেন, মানুষের দুঃসময়ে পাশে না থাকলে রাজনীতি মূল্যহীন। জনগণের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করাই ছিল তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।”
তিনি আরও জানান, মরহুম ডাবু ছিলেন ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর একটি অপূর্ণ ইচ্ছা ছিল, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে এলাকার জন্য কাজ করা। এছাড়া তিনি আগামী উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক শোকবার্তায় বলেন, “এমদাদুল হক ডাবু ছিলেন নির্ভীক ও আত্মত্যাগী একজন রাজনীতিক। আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের সময় তিনি অকুতোভয়ে রাজপথে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন সংগ্রামী নেতা হারালাম।”
এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন এবং শোক প্রকাশ করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এমদাদুল হক ডাবু এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের নাম। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দল এবং এলাকাবাসীর কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তাঁর অসমাপ্ত স্বপ্ন ও সংগ্রামকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তাঁর অনুসারীরা।
মরহুম এমদাদুল হক ডাবুর আদর্শ ও ত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে আগামী প্রজন্মের কাছে।