মোং রিদুয়ান চৌধুরী
চট্টগ্রামের বাকলিয়া স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়াঙ্গনে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। রোববার (২৯ জুন) মাঠটির সংস্কার কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। ফর্টিস গ্রুপের অর্থায়নে ও বাস্তবায়নে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। একই দিনে তিনি হালিশহর হাউজিং এস্টেটের বিডিআর মাঠের সংস্কার কাজেরও উদ্বোধন করেন।
মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, “নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডেই খেলার মাঠ, হাঁটার পথ ও শিশুপার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি। সুস্থ নাগরিক গঠনে মাঠ, বিনোদন ও সামাজিক অবকাঠামোর গুরুত্ব অপরিসীম।”
তিনি আরও বলেন, “টার্ফ মাঠ নির্মাণের কারণে অনেক অস্বচ্ছল পরিবারের শিশুরা খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বৈষম্য দূর করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্মুক্ত খেলার মাঠ গড়ে তোলা হবে, যাতে সব শ্রেণির শিশু-কিশোররা খেলাধুলায় অংশ নিতে পারে। এতে করে সমাজ থেকে মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের মতো সমস্যাও অনেকাংশে হ্রাস পাবে।”
মেয়র শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে খেলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, “বর্তমান প্রজন্ম মোবাইল স্ক্রিনে ডুবে যাচ্ছে। ফলস্বরূপ ২০-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যেই দেখা দিচ্ছে বয়সজনিত রোগ। এটি উদ্বেগজনক। শিশুদের মাঠমুখী না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে।”
তিনি জানান, একসময় চট্টগ্রাম ছিল খেলোয়াড় তৈরির উৎসভূমি। মাঠের সংকটে সেই ধারা বন্ধ হয়ে গেছে। তাই পুরনো মাঠগুলোকে আধুনিকায়নের পাশাপাশি নতুন মাঠও তৈরি করা হচ্ছে।
বাকলিয়া স্টেডিয়ামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রশংসা করে মেয়র বলেন, “কর্ণফুলীর পাড়ে অবস্থিত এই মাঠটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য সম্ভাবনাময়। গ্যালারিসহ আধুনিক অবকাঠামো গড়ে তোলা হলে এটি হয়ে উঠবে একটি আদর্শ ক্রীড়াঙ্গন।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. খালেকুজ্জামান, ফর্টিস গ্রুপের আমিনুল ইসলাম আমিন, আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল, মোশারফ হোসেন ডিপটি, ফরিদ আহমেদ বাবু, চসিকের ক্রীড়া প্রতিনিধি আবদুল আহাদ রিপনসহ আরও অনেকে।
নগরবাসীর প্রত্যাশা- এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে ফিরবে প্রাণ, আর আগামী প্রজন্ম পাবে স্বাস্থ্যবান ও আনন্দময় বেড়ে ওঠার পরিবেশ।