প্রতিবেদক: মীর শরিফুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া
সংবাদ প্রতিবেদন:
কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির কাউন্সিলে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের পর সরকারি কলেজের ছাত্রাবাসের একটি পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে শতাধিক সিলমারা ব্যালট উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২৭ জুন অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে একে বিশ্বাস বাবু সভাপতি ও কামাল উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হন। তবে পরাজিত সভাপতি প্রার্থী কাজল মাজমাদার ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “এটি কোনো নির্বাচন নয়, একটি নির্লজ্জ প্রহসন।”
ভোট পুনর্গণনার পর দেখা যায়, বাবুর ভোট ৬০৭ থেকে বেড়ে ৬১১ এবং কাজলের ভোট ৫৯৫ থেকে বেড়ে ৫৯৯ হয়েছে। এরপরই ছাত্রাবাসের টয়লেট থেকে ‘চেয়ার’ প্রতীকের সিলমারা শতাধিক ব্যালট উদ্ধার হয়। কাজল অভিযোগ করেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে নির্বাচন আগেই প্রভাবিত করা হয়েছিল।
তিনি কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ এবং সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কারচুপি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে জেলা বিএনপি অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হয়েছে এবং ফলাফল ঘোষণার পরই এসব অভিযোগ তোলা হয়।
ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কী পদক্ষেপ নেয়।