স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় দুই আওয়ামী কৃষি কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে ১৬ বছর যাবৎ নিজ এলাকায় অবস্থান। স্থানীয় আওয়ামী দোসর হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের কেউ কিছু বলতে পারছেন না, কেউ কিছু বললেও তাদের নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হুমকি দমকির উপর রাখেন। এজন্য উপজেলা কৃষি অফিসার কে সরকারি সুবিধার অংশীদার বানিয়ে এক লুটের রাজ্যে পরিণত করেছে উপজেলা কৃষি অফিস।
প্রথমত আজাহারুল ইসলাম
উপসহকারী কৃষি অফিসার-উপজেলা কৃষি অফিস ভালুকা। নিজ বাড়ী ভাটগাও-ভালুকা উপজেলা ময়মনসিংহ. ভালুকায় ১৭ বছর যাবত এখনো আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে বহাল তবিয়তে আছেন। তিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সম্মুখ সারির ক্যাডার ছিলেন। তার আপন চাচা উপজেলা আআওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলী সদস্য জনাব সিরাজ,এটাই ছিল তার মুখ্য প্রভাব। আজাহারুল ইসলাম তিনি বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিপরিষদের জেলা ও উপজেলার সদস্য। বর্তমানেও তিনি স্হানীয় প্রভাব খাটিয়ে নিজ অফিসে কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি পদে রয়েছেন। তিনি ভালুকায় চাকুরির পাশাপাশি এখানে স্হানীয় আওয়ামী ক্যাডার বাহিনী নিয়ে নানা ব্যবসা বানিজ্যে জড়িত-যেমন হৃদয় সুপার মার্কেটে ভিশন ইলেকট্রনিক্স শোরুম এর যৌথমালিকানা সহ শেয়ার বাজার এ শেয়ার ব্যবসা,মুরগির লিটার এর ব্যবসা। কৃষি প্রনোধনায় ভর্তুকিতে যন্ত্রপাতি সহ নানা সহযোগিতা তার আত্মীয়-স্বজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এদেরকে বেশিরভাগ পাওয়ার ব্যাপারে কাজ করায় প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে । কৃষিতে তেমন কাজ না করে স্থানীয় প্রভাবেই চলেন,উপজেলা কৃষি অফিসারকে ম্যানেজ করে। যেহেতু উপজেলা কৃষি অফিসার মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় ২০১৪ সালে ভরা আওয়ামী লীগ সময়ে আওয়ামী লীগের পরিবার ও কর্মী সমর্থিত পরিচয়ে ৩১ বিসিএস এ চাকরি নেয়,তাই তিনি তাদের সকল কুকর্মের পালনকর্তা। আজাহারুল ইসলাম কে নিয়ে স্হানীয়ভাবে ভালুকায় নানা মহলে চরম অসন্তোষ রয়েছে। তিনি আওয়ামী দুসর হওয়ায় বর্তমান সরকারকে অসহযোগিতা করার জন্য নানা পর্যায়ে সরকার বিরোধী কথাবার্তা ও উওেজিত পরিবেশ সৃষ্টিতেও ভুমিকা রাখেন। আবার সরকারী কাজে বিশৃঙ্খলার জন্য অন্যদের উৎসাহিত করেন।
অনিয়মে আরো একজন রয়েছেন অএ উপজেলায় একই অফিসে নানা অপতৎপরতায় মুখ্য ভূমিকায়
হাবিবুল্লাহ বাহার
উপ সহকারী কৃষি অফিসার, উপজেলা কৃষি অফিস ভালুকায় কর্মরত। নিজ বাড়ি মাহমুদপুর,ভালুকা উপজেলা, ময়মনসিংহ। তিনি সাবেক স্বাস্হপ্রতিমন্ত্রী প্রফেসর এম আমানুল্লাহ সাহেবের ভাতিজা ও সাবেক কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক বিরুনিয়া ইউনিয়ন ভালুকা উপজেলা শাখা, এই পরিচয় ও প্রভাবে নিজ উপজেলা ভালুকায় আছেন ১৬ বছর যাবত ।তিনি বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদ ময়মনসিংহ জেলার সদস্য। আওয়ামী দুসর হয়ে এখনো বহাল তবিয়তে সরকারি কৃষি ফ্রি কোয়াটারে আছেন। যাহা তৎকালীন স্বাস্হপ্রতিমন্ত্রী সুপারিশে নেওয়া। এছাড়াও বিনা বরাদ্দকৃত একটা মোটরসাইকেল তিনি ১৬ বছর যাবৎ নিজ পারিবারিক কাজে ব্যবহার করে চলছেন। তার বিরুদ্ধেও কৃষি প্রণোদনা বীজ সার এবং কৃষি ভর্তুকি যন্ত্রপাতি বিতরণে আওয়ামী প্রেমী বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তিনি উপজেলা কৃষি অফিসার কে নানা ভাবে সুবিধার ভাগ দিয়ে ঘাপটি মেরে আছেন। সরকারি নানা অপপ্রচারে ও গ্রুপিংয়ে তিনিও ব্যস্ত। উপজেলা প্রশাসনে তাদের মাধ্যমে এখনো আওয়ামী দুসরদের গোপন যোগাযোগ রয়েছে, যদি তারা এখানে আরো কিছু সময় থাকে তাহলে স্হনীয় প্রসাশনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে রয়েছে। অনতিবিলম্বে উক্ত দুজনকে অপসারণ অতীব প্রয়োজন।