শামসুন্নাহার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
খুন,ছিনতাই,ডাকাতি,চাঁদাবাজি,ধর্ষণকারী এসবগুলোই মূলত প্রধান অপরাধ। তাই এসব কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত হয়ে যায় তাদেরকে অপরাধী বলে চিহ্নিত করা হয়। আর এসব কাজে জড়িত সকল ব্যক্তিকে তার কৃতকর্মের জন্য তার প্রাপ্য শাস্তি প্রদান করা উচিত নতুবা দিনদিন ক্রমাগতভাবে এসব অপরাধীদের অপরাধ প্রবণতা আরও বেড়ে যাবে। কারণ অপরাধ যারা করে তারা যদি শাস্তি না পাই,কারো না কারো সুপারিশে ছাড়া পেয়ে যায় তাহলে তার সাহস দিনদিন আরও বাড়তে থাকে। সে ভাবে- আমি চাঁদাবাজি করে খেয়ে যখন আমার কোন শাস্তি হয়না আমি দিব্যি ভালোই খাচ্ছি,ঘুরছি।আমাকে আমার দল,আমার পরিবার,আমার বন্ধু- বান্ধব সকলে সমর্থন করছে তখন সে দিনদিন আরও বেশি অপরাধকর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ে।তাই সমাজ থেকে এবং দেশ থেকে এসব কর্মকাণ্ড মুছে ফেলতে হলে প্রথমত সঠিক অপরাধীকে চিহ্নিত করে তার যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সে এবং পরবর্তী প্রজন্ম যাতে সাহস না পাই সেই কাজ করার কিন্তু যদি এসব অপরাধীকে কোন দলের উপর চাপিয়ে দলের সকলকে হেয় প্রতিপন্ন করেন তখন মূল অপরাধী ছাড় পেয়ে যাবে এবং তার সাহস আরও বাড়বে। অপরাধী কোন দলের,কার কে,তার পরিচয় কি এইটা না দেখে দেখেন সে প্রকৃত অর্থে কোন অপরাধী কিনা যদি সে অপরাধী হয় তাহলে তার একমাত্র পরিচয় সে অপরাধী আর এভাবে স্ব স্ব অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্হা করেন নইলে কখনো সঠিক বিচার কায়েম হবেনা কারণ বিএনপি হোক,এনসিপি হোক,জামায়াত হোক এমন কোন দল নেই যে দলের কোন না কোন কর্মী কোন অপরাধের সাথে যুক্ত নয় তা ছোট হোক কিংবা বড়।কোন দলপ্রধান চায়না তার কর্মীরা কোন অপরাধ করুক কিন্তু কোন দলপ্রধানের পক্ষে দলের সকল কর্মীকে নিয়ন্ত্রণ করা কখনো সম্ভব নয় যে যায় বলুক না কেন? একটা পরিবারের কথায় বলি- একজন বাবা কিংবা পরিবারের সকল কিছু করেন কিন্তু সেই পরিবারের সব সন্তান কি একই রকম হয় নাকি বাবা-মায়ের মতো সবাই হয় তাই কারো জন্ম পরিচয় দেখেও তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করা ঠিক নয় কারণ অনেক বাবা - মা খারাপ হলেও তার সন্তান ভালো হয় আবার অনেক বাবা - মা ভালো হয়েও তার সন্তান খারাপ হয়। এজন্য একটা পরিবারের যেহেতু সকল সদস্য একরকম হয়না।পিতা সকল সন্তানকে একইভাবে শাসন করতে পারে না তাহলে একজন দলপ্রধান বা দলেরনেতারা কিভাবে দলের এতগুলো কর্মীকে নিয়ন্ত্রণ করতে এজন্য সকল দলের উচিত যে দলেরই লোক অপরাধ কর্মকাণ্ড করুক না কেনো তাদের বিরুদ্ধে আপনারা সোচ্চার হোন,তাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে দিন।তার শাস্তি বাঁচিয়ে তাকে আরও অপরাধী করে তুলবেন না,তার সাহস যোগাবেন না,তাকে তার সঠিকটা বুঝতে দিন তবেই সকলের জন্য মঙ্গল হবে।আসুন আমরা দেশকে বাঁচাই,দেশের মানুষকে বাঁচায়।সামান্য কিছু টাকার থেকে জীবনের মূল্য অনেক বেশি এইটা সকলে সকলের অবস্থান থেকে বুঝার চেষ্টা করি।আজ চাঁদার জন্য যে মানুষটিকে হত্যা করছি আমি আমার পরিবারের এতটুকু সুখের জন্য,শান্তির জন্য কাল আমার যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আমার পরিবারের ও তো একই অবস্থা হবে। যেকোনো অপরাধ করার পূর্বে আমরা যদি আমাদের নিজের বিবেককে প্রশ্ন করি,নিজের অবস্থান বিবেচনা করি তাহলে আমার মনে হয়না কেউ এই ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবে। হালাল পথের দশ টাকা উপার্জন অনেক শান্তির কিন্তু হারাম পথের দশ লাখ টাকা ও শান্তির নয়।