1. live@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
  2. info@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন :
রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জিনাইগাতীতে ইসমাইলের পরিবারের খোঁজখবর নিলেন সাবেক সফল চেয়ারম্যান বাদশা বেলকুচি সরকারি কলেজে নবীনবরণ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বেলকুচি ১ নং সদর ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত- বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), পাবলিক হেলথ বিভাগ (জিইউবি), পজিটিভ প্লাস ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ফ্রি হেলথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত। ১৭ বছর তরুণদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে রাজনৈতিক হাতিয়ার করা হয়েছিল কৃষিবিদ শামিম শ্রীপুরে বিধবা নারীর ৯ মাস ধরে চলাচলের রাস্তা অবরুদ্ধ গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলামের রহস্য জনক ম*’ত্যু শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে নিখোঁজ আরো এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার চট্টগ্রামে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার! শ্রীবরদী ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন লেবানুস চেয়ারম্যান ও জীবন সেক্রেটারি

“১৫ বছর ধরে ১৫০০ টাকায় চাকরি! কুষ্টিয়ার সুফিয়ার জীবনে বঞ্চনার দীর্ঘ ছায়া”

জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক চেয়ারম্যান সাংবাদিকঃ মোং রিদুয়ান চৌধুরী 01307869794,01783309708
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

 

প্রতিবেদক:
মীর শরিফুল ইসলাম চৌধুরী, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি

প্রতিবেদন:
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুফিয়া খাতুন, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি পাঠাগার ও অডিটোরিয়ামে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ঝাড়ুদার হিসেবে কর্মরত। অথচ আজও তার মাসিক সম্মানী মাত্র ১,৫০০ টাকা! এই দীর্ঘ সময়ে বেতন বাড়েনি একটুও, যা বর্তমান বাজারে ন্যূনতম জীবিকা নির্বাহের জন্যও যথেষ্ট নয়।

সুফিয়া খাতুন বলেন, “বিগত পনেরো বছরে অনেক আবেদন করেছি বেতন বাড়ানোর জন্য। কেউ শোনেনি। এই সামান্য টাকায় সংসার চালানো তো দূরের কথা, এখন চিকিৎসা ও খাদ্যের ব্যবস্থাও করতে পারছি না।”

তার একমাত্র ছেলে কিডনি রোগে আক্রান্ত। একটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে, আরেকটিও ঝুঁকির মুখে। ছেলের চিকিৎসার খরচ বহন করতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব সুফিয়া। প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা, যা সংগ্রহ করা তার পক্ষে অসম্ভব। একমাত্র উপার্জনের আশ্রয় ছিল এই সামান্য বেতনটাই।

স্থানীয়রা জানান, সুফিয়া খাতুন প্রতিদিন যথারীতি পাঠাগার ও অডিটোরিয়ামের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন। বয়স হয়ে গেছে, তবু কাজে কখনো অনিয়ম করেন না।
পাঠাগারের কেয়ারটেকার সৈয়দা আশেকুন নাহার বলেন, “সুফিয়া খাতুন খুবই দায়িত্বশীল কর্মী। এই টাকায় সংসার চালানো অসম্ভব—জেলা পরিষদের উচিত দ্রুত তার বেতন বৃদ্ধি করা।”

কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি। শিগগিরই তার বেতন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এই প্রান্তিক নারী যেন নিঃশব্দে জীবনের ভার বইছেন। তার মতো আরও কত শত সুফিয়া খাতুন হয়তো নিঃশব্দে বঞ্চনার বোঝা বহন করছেন—যাদের দিকে ফিরে তাকানোর এখনই সময়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট