মোঃ বাদল হোসেন
মির্জাপুর প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী হসপিটালের খেঁয়াঘাটে যাতায়াতের ভোগান্তি নিরসনে একটি সেতু নির্মাণের জন্য বহুবছর যাবৎ দাবি জানিয়ে আসছিলেন এলাকাবাসী।অবশেষে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা এলাকাবাসীদের নিয়ে এক ঘরোয়া মিটিংয়ে সেতু নির্মাণে সম্মতি জানান ও সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ১০ ঘটিকায় কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা তার নিজ বাড়িতে এলাকাবাসীদের নিয়ে একটি মিটিংয়ের আয়োজন করেন।এখানে উপস্থিত লোকজনদের দাবিগুলো শুনেন এবং সেতু নির্মাণের দাবির সাথে একমত পোষণ করে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জানা যায়,বিগত দিনে এই খেঁয়াঘাটে নৌকাডুবিতে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটেছে কয়েকবার। প্রতিদিন এই খেয়াঘাটে সরিষাদাইর,মুসলিমপাড়া,ঘোষপাড়া,সাহাপাড়া,কর্মকারপাড়া সহ ভাওড়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত।
এলাকাবাসীর পক্ষ হতে সালাউদ্দিন ডন,ময়নাল ও হাজী মমিন বলেন,মুমূর্ষু রোগী নিয়ে নৌকায় পারাপারে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকগণ উদ্বিগ্ন উৎকণ্ঠায় দিন কাটায় কারণ উভয় পাশে ব্লক দিয়ে নদী শাসনের কারণে লৌহজং নদীটি হয়েছে আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি খরস্রোতা। বর্তমানে এই নদীতে নৌকা সামাল দেয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।
সুজন সিকাদার,মেহের আলী,ওসমান আরও বলেন,খেঁয়াঘাটে সেতু না থাকায় আমাদের দক্ষিণ মির্জাপুরের এলাকাবাসীর যাতায়াত কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ।সেতু হলে আমরা খুবই উপকৃত হবো।
এলাকাবাসীর কষ্টলাঘবে লৌহজং নদীর কুমুদিনী খেঁয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণের দাবি তুলে ধরে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন ব্যবসায়ী খন্দকার আব্দুর সাত্তার,পিন্টু সাহা,স্বেচ্ছাসেবক মারুফ ইসলাম,শ্যাম সরকার ও লিটন মিয়া সহ এলাকাবাসীর আরও অনেকেই।
কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের রাজীব প্রসাদ সাহা বলেন, আমি ব্রিজ নির্মাণের পক্ষে।আপনাদের দাবির সাথে সম্পূর্ণ একমত।ব্রীজ নির্মাণের ক্ষেত্রে আমি আপনাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করব। তিনি আরো বলেন, আপনারা অনেকেই মন্তব্য করেছেন আমি ব্রিজ হতে দেই না,এ কথা সঠিক নয়। মানুষের অকল্যাণ হবে এই ধরনের কাজের সাথে কুমুদিনী কল্যাণ ট্রাস্ট কখনোই সম্পৃক্ত ছিল না। আপনারা দূর থেকে বিচার করেছেন, কোনদিনও এত বড় দাবি নিয়ে আমাদের কাছে আসেন নি। আসলে দূর থেকে একটা মানুষের ভালো মন্দ কোনটাই ততটা উপলব্ধি করা যায় না। আমার দাদু রনদাপ্রসাদ সাহা সারা জীবন ধরে মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে গেছেন, আমিও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলতে চাই।
কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাটের উপর সেতু নির্মাণের আশ্বাস পেয়ে উপস্থিত সবাই আনন্দ প্রকাশ করেন এবং রাজীব প্রসাদ সাহার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।