1. live@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
  2. info@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন :
রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জিনাইগাতীতে ইসমাইলের পরিবারের খোঁজখবর নিলেন সাবেক সফল চেয়ারম্যান বাদশা বেলকুচি সরকারি কলেজে নবীনবরণ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বেলকুচি ১ নং সদর ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত- বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), পাবলিক হেলথ বিভাগ (জিইউবি), পজিটিভ প্লাস ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ফ্রি হেলথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত। ১৭ বছর তরুণদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে রাজনৈতিক হাতিয়ার করা হয়েছিল কৃষিবিদ শামিম শ্রীপুরে বিধবা নারীর ৯ মাস ধরে চলাচলের রাস্তা অবরুদ্ধ গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলামের রহস্য জনক ম*’ত্যু শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে নিখোঁজ আরো এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার চট্টগ্রামে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার! শ্রীবরদী ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন লেবানুস চেয়ারম্যান ও জীবন সেক্রেটারি

ছাত্র- জনতা বিরোধী স্লোগানদাতা এখন পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব 

জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক চেয়ারম্যান সাংবাদিকঃ মোং রিদুয়ান চৌধুরী 01307869794,01783309708
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

 

এম জাফরান হারুন

একদিকে নিজেকে “সততার প্রতীক” বলে প্রচার, অন্যদিকে জুলাই আন্দোলন চলাকালীন রাজপথে ছাত্র-জনতার বিপক্ষে স্লোগান। এই দ্বিচারিতা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কে পটুয়াখালীর বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. খালেদুর রহমান মিয়া। ছাত্র জনতার বিপক্ষে মিছিল দেয়ার ভাইরাল ভিডিওতে  তাকে দেখা যায় বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করা। তাকে দেখা গেছে পটুয়াখালীর প্রশাসন আয়োজিত বিভিন্ন ছাত্র জনতার প্রোগ্রামে এবং তিনি এখন চলমান নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব।

৫ই আগস্টের পর পটুয়াখালীতে সিভিল সার্জন হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পূর্বে তিনি ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শৃঙ্খলা বিভাগের উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জন্মসূত্রে ফরিদপুরের বাসিন্দা এই কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি নিক্সন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে প্রশাসনিক মহলে পরিচিত। দীর্ঘ কর্মজীবনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং দলীয় আনুগত্য নিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

গত বছর জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান যখন দেশব্যাপী জোরদার ছিল, তখন একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ডা. খালেদুর রহমান মিয়াকে দেখা যায় সরাসরি ওই আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে।

আন্দোলন চলাকালীন সর্বশেষ ৩ আগষ্ট একদল কর্মকর্তা ঢাকার রাজপথে নামেন সাধারণ ছাত্রদের বিরুদ্ধে মিছিল করতে। ওই মিছিলে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশে বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করেন এবং ছাত্র জনতার বিপক্ষে “এক দফা কবর দে” বলে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাকে।

ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের কিছুদিন পর ডাঃ খালিদুর রহমান মিয়া সিভিল সার্জন হিসেবে পটুয়াখালীতে যোগ দেন। স্থানীয় ছাত্র জনতার মধ্যে তাকে নিয়ে অনেক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেকে একে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা কিংবা সিভিল সার্জন এর অপকৌশল বলে মনে করছেন। চলতি জুলাই মাসে তিনি বিভিন্ন সেমিনার, ইভেন্ট ও সভায় নিজেকে ‘সততা’র প্রতীক ও ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সহযোদ্ধা হিসেবে প্রচার করে চলেছেন। একদিকে তোষামোদ, অন্যদিকে নিজের অতীত ঢাকার চেষ্টা। তবে এই কৌশল চোখ এড়াচ্ছে না জনসাধারণের। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলন করা একজন সরকারি কর্মকর্তা এই জুলাই মাসে আন্দোলন করা ছাত্র জনতা ও শহীদ পরিবারদের নিয়ে সেমিনার ও পুরস্কার দেয়ার কথা ভাবছেন যা নিয়ে পটুয়াখালী সাধারণ জনতার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পটুয়াখালীতে বর্তমানে স্বাস্থ্য সহকারী পদে ১২৪ জনের পুনঃ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। স্থগিত হওয়া প্রথমবারের নিয়োগের বিভিন্ন উপজেলার কোঠা গুলো পুনরায় যাচাই-বাছাই ও সমবণ্টন না করে পূর্বের সিভিল সার্জন এর বৈষম্য নীতি অনুসরণ করে পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। এই বোর্ডে ডা. খালেদুর রহমান মিয়া সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন। সভাপতি হিসেবে রয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। ছাত্র জনতা ও নাগরিক সমাজের শঙ্কা এই নিয়োগ বোর্ডের নেতৃত্বে থাকা ডা. খালেদুর রহমান মিয়ার অতীত রাজনৈতিক পক্ষপাত ও ছাত্রবিরোধী অবস্থান সুষ্ঠু নিয়োগের পথে অন্তরায় হতে পারে। অভিযোগ উঠছে, নিষিদ্ধ ও বিতর্কিত সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য কিংবা জুলাই আন্দোলনের বিরোধীদের পরিবার থেকে প্রার্থী নির্বাচন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার আশঙ্কা রয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, কোন সরকারি কর্মকর্তা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন না, মিছিল বা স্লোগানে অংশগ্রহণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায় তিনি সরাসরি একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে ও বিপ্লবী ছাত্র জনতার বিপক্ষে রাজনৈতিক স্লোগান দিচ্ছেন।

ভাইরাল ভিডিওটি প্রকাশ হওয়ার পর পটুয়াখালীসহ দেশব্যাপী বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা তার অপসারণ এবং শাস্তির দাবি তুলেছেন। তাদের দাবি এই কর্মকর্তার মাধ্যমে কোনোভাবেই স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা আশা করা যায় না। চাকরি বিধি লংঘন করে একটি রাজনৈতিক মিছিলে অংশগ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন তারা মেনে নিতে পারবেন না।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ডা. খালেদুর রহমান মিয়া বলেন, ঐদিন ছিল ৩ আগস্ট আমার সহকর্মীরা জোর করে ধরে আমাকে মিছিলে নিয়ে যায় তবে তাদেরকে আমি চিনি না। স্বাস্থ্য ডিজি অফিসের সামনেই আমরা মিছিল করেছি। তবে পরবর্তীতে আমার অফিস কলিগদের কে এই ব্যাপারে মৌখিক শেয়ার করেছি। (২৬/০৭/২০২৫)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট