1. live@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
  2. info@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন :
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কানাডা সফর শেষে সাংবাদিকদের সাথে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাতের মতবিনিময় শ্রীপুরে জুলাই বিপ্লবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের’ রেজিস্টেন্স সম্মাননা প্রদান শ্রীপুরে শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ শ্রীপুরে পৌর বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ক্লিন বাংলাদেশের ব্যতিক্রমী কর্মসূচিতে মেয়রের আহ্বান: “সবুজ নগর গঠনে গাছই আমাদের ভবিষ্যৎ” জামায়াত নেতার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশংসা করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা অযত্ন-অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে নীলফামারীর ঐতিহাসিক হরিশ্চন্দ্র রাজার বাড়ি নীলফামারীতে শামসুন নাহার হত্যাকান্ডের গ্রেপ্তার প্রধান আসামি এক বছরে বিএনপির আয় ১১ কোটি টাকা: নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিলেন রিজভী রজায়ী যুব তরিকত কমিটির ঐতিহাসিক সমাবেশ ও জশনে জুলুস ৬ রবিউল আউয়াল ৩০ আগস্ট

কানাডা সফর শেষে সাংবাদিকদের সাথে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাতের মতবিনিময়

জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক চেয়ারম্যান সাংবাদিকঃ মোং রিদুয়ান চৌধুরী 01307869794,01783309708
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

মোং রিদুয়ান চৌধুরী
কানাডা সফর শেষে নগরীর সার্বিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে বাটালি হিলস্থ প্রধান নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কানাডা সফর প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, কানাডা সফর আমাকে গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা দিয়েছে। টরন্টো ও মন্ট্রিয়লে বিভিন্ন কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চট্টগ্রামের উন্নয়ন কার্যক্রম, আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিনির্ভর সেবা, পরিবেশবান্ধব নগর গড়ে তোলার পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি জানান, কানাডার কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটি ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মধ্যে যৌথ সহযোগিতার জন্য একটি চুক্তি হয়েছে। এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

এছাড়া, টরেন্টোর বাংলা টাউনের ড্যানফোর্থ এলাকায় অন্টারিও প্রদেশের এমপিপি মেরি-মার্গারেট ম্যাকমাহনের সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু সহনশীলতা, স্টার্টআপ উন্নয়ন এবং নার্সিং খাতে দক্ষ জনশক্তি গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। টরন্টো সিটি হলে মেয়র অলিভিয়া চৌ ও এমপিপি ডলি বেগমের সঙ্গে যৌথ বৈঠকে নগর উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও স্বাস্থ্যখাতে প্রশিক্ষিত জনবল বিনিময়ের সম্ভাবনা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের জন্য আন্তর্জাতিক সিটি-টু-সিটি সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টরন্টো সিটির সঙ্গে একটি সহযোগিতা চুক্তি (সিস্টার সিটি) স্বাক্ষরের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এটি বাস্তবায়িত হলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

কানাডা সফরের সময় মেয়র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপিপি ডলি বেগম, সালমা জাহিদসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। লেদার পণ্য রপ্তানি, নার্সিং ও হেলথকেয়ার সেবা, গ্রীন এনার্জি এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কানাডার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একাধিক বৈঠক করেন চসিক মেয়র।

পুলিশ প্রশাসন সংস্কার প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, কানাডার পুলিশ জনবান্ধব। তারা ভদ্রভাবে জনগণের সাথে কথোপকথন করে তারপর আইন প্রয়োগ করে। এই মডেল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের পুলিশ ব্যবস্থাও সংস্কারের প্রয়োজন।

মেয়র বলেন, শহরের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জনসচেতনতা বাড়াতে আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা ১০০ দিনের বিশেষ মশক নিধনের লক্ষ্যে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করেছি, যা আগামী তিন মাস চলবে।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। বাসাবাড়িতে পানি জমে থাকা যেকোনো জায়গা, যেমন ডাবের খোসা, প্লাস্টিক বোতল, টব, টায়ার কিংবা বালতি, মশার লার্ভার জন্মের বড় উৎস। মাত্র ১-২ মিলিলিটার পানিতেও ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এডিস মশার লার্ভা জন্মাতে পারে। তাই বাসাবাড়ির বালতিগুলো উল্টো করে রাখা, টবের পানি নিয়মিত পরিবর্তন এবং এসির পানি জমে থাকা বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।

মেয়র আরও উল্লেখ করেন, চিকুনগুনিয়ার প্রভাব এই বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর তুলনায় বেশি। এজন্য আমরা প্রতিটি হটস্পট এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছি। প্রয়োজনে আমি নিজে প্রতিটি জোনে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব।

তিনি সকল নাগরিককে আহ্বান জানিয়ে বলেন, যদি কোথাও মশার প্রাদুর্ভাব বা সমস্যার অভিযোগ থাকে, সিটি কর্পোরেশনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সরাসরি জানাতে পারবেন। আমি নিজেও সব সময় নাগরিক সেবার জন্য প্রস্তুত আছি।

নালায় পড়ে শিশু মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হালিশহরের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রতিবন্ধী, শিশু এবং বয়স্কদের জন্য বিশেষ সতর্কতা ও সচেতনতার প্রয়োজন। আমরা পরিবার ও কেয়ারটেকারদের দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি এবং সিটি কর্পোরেশন থেকেও সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।

শিশুদের নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি শিশু কখনোই স্বাধীন নয়, সে সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। গার্মেন্টস হোক বা অন্য কোনো কর্মস্থলে শিশুকে সঙ্গে নিয়ে গেলে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কর্মীরই। শিশুকে যদি সামলে রাখা সম্ভব না হয়, তবে গেটকিপার বা অন্য কারও কাছে দায়িত্ব দিয়ে যেতে হবে। এই দায়িত্ব অবহেলা করা যায় না। সিটি কর্পোরেশন কিংবা অন্য কোনো সংস্থার পক্ষে সব শিশুদের তদারকি করা সম্ভব নয়। এ দায়িত্ব প্রথমেই পরিবারের বা অভিভাবকের। আর সব নালা ঢেকে দেওয়াও সম্ভব নয়। কিছু নালা সার্ভিস লাইন হিসেবে খোলা রাখতে হয়। তবে পাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও স্ল্যাব বসানো থাকে। যেখানে গার্মেন্টস নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করেছে, সেটি আমাদের নয়। মূলত পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বই শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শহর পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব শুধু সিটি কর্পোরেশনের নয়, নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আমরা ডোর-টু-ডোর ময়লা সংগ্রহ প্রকল্প চালু করেছি। প্রতি পরিবার মাসে ৬০ টাকা প্রদান করছে। কানাডার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সেখানে ধনী গরিব সবাই নিজ হাতে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলে। আমাদেরও এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ৬০ টাকা খরচ করেও যদি শহরকে সুন্দর রাখতে না পারি, সেটা দুঃখজনক।

চসিক কর্মচারীদের শৃঙ্খলার বিষয়ে মেয়র জানান, আমরা অনুপস্থিত ও দায়িত্বহীন কর্মচারীদের ছাঁটাই করেছি, এখন পর্যন্ত ৪৮-৫০ জনকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পূর্বে নিয়ম কানুন না থাকলেও এখন নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশন জবাবদিহিতার উর্ধ্বে নয়। ডোর-টু-ডোর সেবার ক্ষেত্রে ৬০ টাকার বেশি দাবি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা জাপান, কোরিয়া, কানাডা, চীন ও নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগকারীদের সাথে ওয়েস্ট-টু-এনার্জি প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। চট্টগ্রাম শহরে প্রতিদিন যে বিপুল বর্জ্য উতপাদন হয় তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে শহরের পরিবেশ ও অর্থনীতি উন্নত করা সম্ভব হবে। এছাড়া সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ড্রেনেজ সিস্টেম মাস্টার প্ল্যানের আওতায় আনা হবে।

তিনি জানান, চট্টগ্রামবাসীর সুবিধার্থে নাগরিক অভিযোগ সমাধানে অ্যাপস চালু করছি খুব শিগগিরই। “আমার চট্টগ্রাম” নামের একটি অ্যাপ চালু করা হবে। এর মাধ্যমে নাগরিকরা যে কোনো সমস্যা সরাসরি জানাতে পারবেন এবং আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী (অঃ দাঃ) মো. ফরহাদুল আলম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিধন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান জিয়া।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট