মো:লিংকন মিয়া
স্টাফ রিপোর্টার:
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকাল ৪ টায় তিস্তা ব্রীজ পয়েন্টে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর এবং কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মধ্যবর্তী তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত এ সেতুটি বাস্তবায়নের জন্য ১৯৯৫ সাল থেকে শরিতুল্যাহ মাস্টার নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।
উপহাস ও নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি তিন দশক ধরে আন্দোলন চালিয়ে যান। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে তাঁর এই প্রচেষ্টা আজ সফল হয়েছে।
তারা আরও বলেন, সেতুটি নির্মিত হওয়ার আগে তিস্তা নদী পারাপারে স্থানীয় মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে শরিতুল্যাহ মাস্টার ‘তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করেন এবং জনসাধারণের কাছে সেতুর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
তাঁর নেতৃত্ব, প্রচেষ্টা এবং জনগণের সাড়া মিলিয়ে অবশেষে সেতু বাস্তবায়িত হয়। এটি শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নয়, বরং এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বক্তারা বলেন, এই সেতু কেবল একটি অবকাঠামো নয়; এটি শরিতুল্যাহ মাস্টারের তিন দশকের স্বপ্ন, আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতীক। তার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তার অবদান তুলে ধরতে সেতুটির নামকরণ ‘শরিতুল্যাহ মাস্টার তিস্তা সেতু’ করার জোর দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নামকরণ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামীম মণ্ডল, সদস্য সচিব শাহীন মিয়া, মুখপাত্র আমিন হোসেন, নুরে আলম নুর ছাত্র সমন্বয়ক সুন্দরগঞ্জ উপজেলা, অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, সমাজ সেবক বাদল খান, সমাজসেবক নুরে আলম সিদ্দিক সহ স্থানীয় আরো অনেকে।