1. live@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
  2. info@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন :
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), পাবলিক হেলথ বিভাগ (জিইউবি), পজিটিভ প্লাস ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ফ্রি হেলথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত। ১৭ বছর তরুণদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে রাজনৈতিক হাতিয়ার করা হয়েছিল কৃষিবিদ শামিম শ্রীপুরে বিধবা নারীর ৯ মাস ধরে চলাচলের রাস্তা অবরুদ্ধ গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলামের রহস্য জনক ম*’ত্যু শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে নিখোঁজ আরো এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার চট্টগ্রামে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার! শ্রীবরদী ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন লেবানুস চেয়ারম্যান ও জীবন সেক্রেটারি শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত চট্টগ্রাম মহানগরীর সকল মসজিদের ইমামদের সাথে আল্লামা সাবির শাহ্ (মা.জি.আ)-এর বিশেষ সাক্ষাৎ রবিবার ধামরাই এসআই-এর তৎপরতায় চুরি হওয়া ৩ মোটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

ফকিরহাট সদর ইউনিয়ন সচিবের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক চেয়ারম্যান সাংবাদিকঃ মোং রিদুয়ান চৌধুরী 01307869794,01783309708
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ ইকরামুল হক রাজিব বিশেষ প্রতিনিধি

গরিবের হক কেড়ে খাওয়ার দিন কি এখনও শেষ হয়নি?”—এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বাগেরহাটের ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ একটি সেবা নিতে গিয়ে বারবার হয়রানি আর অর্থ দাবি—এ যেন সাধারণের জীবনে আরেক নতুন দুর্ভোগের নাম।

সদর ইউনিয়নের ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুহাম্মাদ এহসানুল হাসান এর বিরুদ্ধে একাধিক ঘুষ গ্রহণ, অর্থ আত্মসাত এবং প্রশাসনিক অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে গিয়ে বাধ্য হয়েই টাকা দিতে হচ্ছে, নয়তো দিনের পর দিন ঘোরাতে থাকেন এই কর্মকর্তা।

ভুক্তভোগী আফরোজা বেগম জানান, “আমার দুলাভাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া সেই সময়, মৃত্যুর পাঁচ দিন পর আমি মৃত্যু সনদ নিতে গেলে এহসান সাহেব ১০০ টাকা চান। ভাগ্নের জন্মসনদের জন্যও আরও ১০০ টাকা চেয়েছিলেন। আমি টাকা দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি। পরে জানতে পারি ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু সনদ নিতে কোনো টাকা লাগে না। টাকা ফেরত চাইলে তিনি প্রথমে আমাকে রুম থেকে বের করে দেন। পরে বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলামকে জানালে তারপর এহসানুল হাসান আমার টাকা ফেরত দেন।”

আফরোজা বেগম বলেন, “আমি চাই, আর কোনো মানুষ যেনো এমন হয়রানির শিকার না হন। এটা শুধু একটা টাকার বিষয় নয়, এটা মানবিকতার প্রশ্ন।”

একই রকম অভিযোগ তুলেছেন হামিম হোসেন নামের আরেক যুবক। তিনি জানান, “আমি জন্মনিবন্ধন করতে গেলে কয়েকদিন ঘুরানোর পর টাকা দাবি করেন এহসান সাহেব। টাকা দেওয়ার পর জন্মনিবন্ধন হয়, কিন্তু সেখানে আমার বাবাকে মৃত দেখানো হয়েছে—যদিও তিনি এখনো জীবিত। আমি এর কঠোর বিচার চাই।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, মুহাম্মাদ এহসানুল হাসান পূর্বের কর্মস্থলেও অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অথচ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তার কাছেই যদি সাধারণ মানুষ এভাবে প্রতারিত হন, তাহলে কোথায় যাবে ন্যায়বিচার?

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে মুহাম্মাদ এহসানুল হাসান বলেন, “কাজ করতে গেলে ভুল হতেই পারে। আমি আফরোজার কাছ থেকে ভুল করে টাকা নিয়েছিলাম, পরে ফেরত দিয়েছি।”

তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আইরিন। তিনি বলেন, “বিষয়টি আমি জেনেছি, অতি দ্রুত তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

সেবার নামে হয়রানি, ন্যায্য অধিকারের বদলে ঘুষের দাবি—এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ হবে আতঙ্কের নাম। দুঃখজনক হলেও সত্য, একজন সরকারি কর্মচারীর অনিয়মের দায় কখনো পুরো ব্যবস্থাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। সময় এসেছে প্রশ্ন তুলার, এবং সেইসাথে প্রতিকার চাওয়ার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট