রাজশাহী প্রতিনিধিঃ জাকির হোসেন-টুটুল
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নে টানা (৩) তিন বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য (মেম্বার) ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান টিটুর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গত বছর ৫- আগস্ট পববর্তি সময়ের পর ওই ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম (টুলু) আওয়ামী লীগ সমর্থিত হওয়ায় তার নামে মামলা হওয়ায় তিনি কারাগারে যান। ওই সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে ১২- জন সদস্যর মধ্যে ভোটাভুটির ভিত্তিতে মাহাবুবুর রহমান টিটুকে (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এবিষয়ে স্থানীয়রা জানান, টিটু কে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার পর থেকেই একটি মহল তাকে সরিয়ে তার স্থানে পুর্বের চেয়ারম্যানকে বসাতে নানা অপতৎপরতা ও অপপ্রচার শুরু করেছে। অথচ টিটু একটানা (৩) তিন বার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকায় তিনি এখানো বেশ জনপ্রিয়। কারন টিটুর যদি দুর্নীতি থাকতো তাহলে তিনি কখানোই পরপর তিন বার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হতে পারতেন না। টিটুর বিরুদ্ধে করা অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প ও নামে মাত্র কাজ করে লাখ- লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। অথচ জুলাই বিপ্লবের পর কোনো ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের পক্ষে এমন অনিয়ম, দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়াও টিআর প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে, প্রকৃত পক্ষে টিআর প্রকল্পের অর্থ কয়েকটি মসজিদে আনুঃপাতিকহারে বন্টন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি সদস্য (মেম্বার) বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান টিটুর বিরুদ্ধে করা অভিযোগে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, একটি পক্ষ তাকে সরিয়ে তার স্থানে অন্য কাউকে বসাতে এসব অপপ্রচার করছে। তারা আরো বলেন, যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তার তদন্ত অনেক আগেই করা হয়েছে।
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান টিটু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পুর্ন উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত, বানোয়াট ও মিথ্যা।
এবিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান টিটুর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছিল, সেটা তদন্ত করে বাদি-বিবাদির উপস্থিতিতে মিমাংসা করা হয়েছে।