মোঃ ইকরামুল হক রাজিব
বিশেষ প্রতিনিধি
বাগেরহাটের একটি সংসদীয় আসন কমিয়ে তিনটিতে রূপান্তরের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বাগেরহাটে শুরু হয়েছে সর্বদলীয় প্রতিবাদ আন্দোলন। বাগেরহাট নাগরিক সমাজ ও সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে জেলার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক কণ্ঠে বললেন, এই প্রস্তাব মানা হবে না। প্রয়োজনে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে, এমনকি প্রশাসনিক অবরোধেরও হুমকি এসেছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাটের দশানী মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আদালত চত্বরের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময়ে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জামান দিপু , জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এ.টি.এম আকরাম হোসেন তালিম, জেলা বিএনপির সমন্বয়ক ও সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম, নাগরিক কমিটির সভাপতি সুজাউদ্দিন মোল্লা সুজন, খেলাফত মজলিসের সভাপতি আমিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, এনসিপির আহবায়ক মোর্শেদ আনোয়ার সোহেল ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলার সাবেক এস এম সাদ্দামসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা ।
এসময়ে বক্তারা ইসিকে উদে্দশ করে বলেন, যদি না বুঝে করে থাকেন তাহলে আমরা দাবি জানালাম, আপনারা আমাদের দাবি মেনে নিয়ে বাগেরহাটের তিন আসনের প্রস্তাবকে বাতিল করে দিয়ে চারটি আসন পুনর্বহাল করবেন। বাগেরহাট জেলার ইজ্জতের প্রশ্নে, সমস্যা নিরসনের জন্য, বাগেরহাট জেলার সম্মানের প্রশ্নে বাগেরহাট বাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয় এবং দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।
বক্তারা আরো বলেন, প্রয়োজনে বাগেরহাট বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকবে তবুও বাগেরহাটে তিনটি আসন মেনে নিবো না ।
বক্তারা আরো বলেন, বাগেরহাটের চতুর্থ আসন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। না মানলে বাগেরহাটে সর্বাত্মক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক জেলা। এখানে চারটি আসন থাকা প্রয়োজন শুধু রাজনৈতিক প্রতিনিধি বাড়ানোর জন্য নয়, জনগণের সমস্যা সরাসরি সংসদে তুলে ধরার জন্য।
বক্তব্য শেষে বিএনপির জেলা আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেন, তিনি বলেন আগামীকাল বেলা ১১টায় দশানী মোড় থেকে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে প্রশাসনকে ও স্থানীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে এবং বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের কারিগরি কমিটি প্রস্তাব দেয়, বাগেরহাট জেলার ভোটার সংখ্যা কম হওয়ায় একটি আসন কমিয়ে তিনটি করা হবে। এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজ প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।