এম জাফরান হারুন
পটুয়াখালীর দুমকিতে বাউফলের মেয়ে মুক্তা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের চরবয়েড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মুক্তা আক্তার দুই সন্তানের জননী। নিহতের বাবার বাড়ি বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে।
ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় দুমকি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর: ০৮, তারিখ: ০১.০৮.২০২৫) নথিভুক্ত হয়েছে। রাত ৯টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মুক্তার শাশুড়ির দাবি, হঠাৎ স্ট্রোক করেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ভিন্ন দাবি করেন নিহতের ভাই মাসুম। তিনি বলেন, শ্বশুর-শাশুড়ির শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণেই আমার বোনের মৃত্যু হয়েছে। সে কয়েক দিনের মধ্যে বাবার বাড়ি ফেরার কথা বলেছিল। আমরা সঠিক তদন্ত করে ও দোষীদের শাস্তি চাই।
পরিবারের আরও অভিযোগ, মৃত্যুর বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা আমলে নেয়নি।
এবিষয়ে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. জাহিদুর রহমান বলেন, সকাল ৯টার দিকে রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আমার ধারণা সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার ভেতর তিনি মারা গেছেন।
এবিষয়ে দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। (০৩/০৮/২০২৫)