বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দাপিয়ে বেড়ানো রাঙ্গুনিয়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হামিদ উল্লাহ এখন পলাতক থেকেও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এই নেতা একসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অভিযোগ আছে, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান মাহমুদের নির্দেশে তিনি ছাত্র-জনতার ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন।
৫ আগস্টের আগে পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করলেও, সংগঠন নিষিদ্ধ হওয়ার পরও তার প্রভাব কমেনি। অনেক নেতা-কর্মী কারাগারে বা পলাতক থাকলেও হামিদ উল্লাহর দাপট অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সরকার পতনের পর মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান হামিদ উল্লাহ। সেখানে থেকে হাসান মাহমুদের অবৈধ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে সরকারবিরোধী কার্যক্রমে ব্যয় করছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মামলার আসামিদের জামিনে মুক্ত করতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
শুধু তাই নয়—অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষা এবং আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তার পুরো পরিবারই আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবলুর অভিযোগ, সরকারবিরোধী তৎপরতা ও এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছেন হামিদ উল্লাহ। কুখ্যাত সন্ত্রাসী আইয়ুবের সহযোগিতায় বালু, মদ, গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করছেন তিনি। এসবের প্রতিবাদ করায় বাবলুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেন হামিদ উল্লাহ।
এলাকার জনসাধারণ ও বিএনপির নেতারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হামলাকারী, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এই সন্ত্রাসী হামিদ উল্লাহকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসনের কাছে।