মোঃ শহিদুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জঃ
ছবিতে দেখা দুই মহান মানুষ—১ম অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী আলম (জামায়াত ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী-বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুর) এবং ২য় আরিফুল ইসলাম সোহেল—এরা শুধু ব্যক্তি নন, এরা একেকজন চলমান প্রতিষ্ঠান, একেকটি আলোকিত বাতিঘর। তাদের সম্পর্কের মধুরতা আর তাদের অবদানের ব্যাপকতা বেলকুচির মানুষকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা জোগায়।
অধ্যক্ষ আলী আলম- যেন এক সদা জাগ্রত দীপশিখা, যিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন ইসলামের দাওয়াতের মহান ব্রতে। কষ্টক্লান্ত শরীর আর সীমাহীন প্রতিকূলতাকে সঙ্গী করে জীবনভর দাওয়াতের পূন্যপথের ছুটেছেন অজস্র ক্লান্তিহীন দিনরাত্রি ধরে। তার কন্ঠের আহ্বান আর পায়ে লাগানো সাইকেলের ঘন্টা ধ্বনি এখনো ভেসে বেড়ায় সিরাজগঞ্জের গ্রাম-গঞ্জে। মানুষের হৃদয়ে আলোর প্রদীপ জ্বালাতে তিনি হাল ছাড়েননি এক মুহূর্তোও। তার কণ্ঠে ইসলামের বাণী আর অন্তরে মানুষের জন্য নিখাদ ভালোবাসা—এ দুই শক্তিই তাকে অবিচল রেখেছে। তিনি নিরহঙ্কার, সদালাপী, আর মানুষের সুখে-দুখে ছুটে যাওয়া এক বিশ্বস্ত অভিভাবক। সামর্থ্য অনুযায়ী দরিদ্র মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে শিক্ষার আলো জ্বালাতে স্কুল-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান, সবখানেই তার অবদান অনস্বীকার্য।
অন্যদিকে আরিফুল ইসলাম সোহেল, বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের বর্তমান আমির, তিনি যেন এক অচল অটল শিলাখণ্ড। সাহস আর অটল নিষ্ঠার এক অপরাজেয় প্রতীক।দলের সবচেয়ে দুঃসময়, মামলা-হামলা-গ্রেফতারি পরোয়ানা আর ভয়ের আবহে যখন অনেকেই নিভু নিভু প্রদীপের মতো নিস্তেজ হয়ে পড়েছিলেন, তখন তিনি ছিলেন কর্মীদের সাহস আর আশা। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, দৃঢ় সংকল্প, আর অপরিসীম ধৈর্য্য অনেক কর্মীর জীবনকে পথভ্রষ্ট থেকে ফিরিয়ে এনেছেন। যারা দিশাহীন হয়ে পড়েছিল, তাদের সংগঠিত করেছেন, সহমর্মিতার হাত বাড়িয়েছেন, আর শত্রু-মিত্র সবাইকে আপন ব্যবহারে মুগ্ধ করেছেন। তার নেতৃত্বে দলের ভিত যেমন মজবুত হয়েছে, তেমনি মানুষের আস্থা-ভালোবাসাও বেড়েছে বহুগুণে।
সর্বোপরি, এদের দুজনের সম্পর্ক যেন আকাশ আর বাতাসের মতো—দৃশ্যমান ও অদৃশ্য বন্ধনে একে অপরের পরিপূরক। এলাকার সামাজিক, ধর্মীয়, শিক্ষামূলক বা মানবিক কোনো কর্মকাণ্ড তাদের উপস্থিতি ছাড়া যেন অপূর্ণ থেকে যায়। নতুন শিশু জন্মের আনন্দমুখর অনুষ্ঠানে তাদের দোয়া ছাড়া যেমন পরিবারগুলো স্বস্তি খুঁজে পায় না; আবার কোনো মৃত্যুর শোকাবহ ক্ষণেও তাদের সান্ত্বনার বাণী না থাকলে যেন মানুষকে শক্তি দেয় না। অসুস্থের সেবা, দরিদ্রের পাশে দাঁড়ানো, শিক্ষার্থীর জন্য সার্বিক ব্যবস্থা করা—সবখানেই তাদের অবদান নিঃশব্দে হলেও অমূল্য।
অধ্যক্ষ আলী আলমের প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা আর শিক্ষাদানের ক্ষমতা যেমন মানুষকে আলোকিত করেছে, তেমনি আরিফুল ইসলাম সোহেল এর সাহস, সংগঠনের প্রতি নিষ্ঠা আর মানবিকতা এলাকাকে এক অটুট বন্ধনে বেঁধেছে। তাদের দুজনের মিলিত প্রচেষ্টা শুধু জামায়াতের নয়, পুরো সমাজের উন্নয়ন ও ঐক্যের জন্য এক আশীর্বাদ হয়ে আছে।
এই দুই মানুষ প্রমাণ করেছেন, নেতৃত্ব মানে শুধু নির্দেশনা দেওয়া নয়; নেতৃত্ব মানে মানুষের হৃদয় জয় করা, দুঃখে-দুর্দশায় পাশে দাঁড়ানো, এবং সংকটের সময় প্রিয়জন হয়ে ওঠা। তাই আজ তারা এলাকাবাসীর কাছে নেতা নয়, আপনজন। তাদের এই অমলিন অবদান ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে, নতুন প্রজন্মের জন্য পথ দেখাবে—যেন বিশ্বাস, পরিশ্রম আর ভালোবাসা দিয়ে সমাজের পরিবর্তন আনা যায়।