1. live@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
  2. info@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন :
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বেলকুচিতে ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক ছাত্রদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত – নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমেই ছাত্র সমাজকে আগামীর বাংলাদেশ বির্নিমানে কাংখিত ভূমিকা রাখতে হবে। – এমপি পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আলী আলম.- ধর্মপাশায় কৃষি ও আবহাওয়া তথ্য সেবায় প্রান্তিক কৃষকদের সাথে সমন্বয় সভা বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এক কোটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন আনিসুল হক ধানের শীষে ভোট চেয়ে শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম লাকির নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ রামপালে রেলওয়ে স্টেশন চালুর দাবিতে এলাকাবাসীর স্বারকলিপি প্রদান বেলকুচিতে দেলুয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহত ১ জন আহত ১জন – “দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লার সনদ দিয়ে এমপিও বেতন করতে কোন সমস্যা বাধা নেই, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমতি অনুমোদন প্রাপ্ত, সরকারি ভাবে শিক্ষক, প্রভাষক, গ্ৰন্থাগারিক নিয়োগ প্রাপ্তদের তাদের বেতন ও এমপিও পেতে কোন বাধা নেই। ধর্মপাশা উপজেলা নবগঠিত প্রেসক্লাবের দুই বছর মেয়াদি কমিটি গঠিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বেলকুচি উপজেলায় আলোচনা ও নির্বাচনী প্রচারনা সভা অনুষ্ঠিত-

কুষ্টিয়ায় বিয়ের ছয় মাসের মাথায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, শ্বশুরবাড়ির সকলেই পলাতক।

জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোঃ রিদুয়ান চৌধুরী 01307869794,01783309708
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ৪৬ বার পড়া হয়েছে

 

প্রতিবেদক:
মীর শরিফুল ইসলাম চৌধুরী

প্রতিবেদন:
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে বিয়ের মাত্র ছয় মাসের মধ্যে সামিহা খাতুন নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত সামিহা একই উপজেলার আলাউদ্দিনপুর গ্রামের সফিউদ্দিনের মেয়ে। স্বজনদের অভিযোগ—স্বামী জীবন হোসেন, শ্বশুর সাহেব আলী ও শাশুড়ি নাজমা খাতুন তাকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের পর ছয় মাস আগে সামিহা খাতুন ও জীবন হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সামিহার উপর বিভিন্ন ধরণের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। সামান্য বিষয় নিয়েও তাকে প্রায়ই মারধর করা হতো। বিশেষ করে আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সাংসারিক সামগ্রী বাবার বাড়ি থেকে এনে দিতে চাপ দেয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। সামিহার পরিবার দাবি করেছে, এসব বিষয় নিয়েই শুক্রবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়।

পরদিন শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়রা সামিহার মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রথমে এটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করার চেষ্টা করে। তবে সামিহার স্বজনরা গিয়ে মরদেহের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও রক্তের দাগ দেখতে পেয়ে নিশ্চিত হন যে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রকাশ চন্দ্র বাছাড় জানান, “মরদেহের শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে।”

এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী জীবন হোসেন, শ্বশুর সাহেব আলী এবং শাশুড়ি নাজমা খাতুন সবাই গা-ঢাকা দিয়েছে। তাদের কাউকেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত সামিহার বড় বোন সাকিবা খাতুন বলেন, “প্রেমের সম্পর্কের কথা বলে ওকে জোর করে বিয়ে করেছিল জীবন। বিয়ের পর থেকেই ওকে নানা সময় মারধর করত। আসবাবপত্র না দেয়ার কারণেই এখন আমার বোনকে মেরে ফেলেছে।” তিনি আরও বলেন, “মরদেহ দেখে আমাদের আর বুঝতে বাকি নেই— এটা আত্মহত্যা নয়, নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।”

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট