বিশেষ প্রতিনিধি আহমদ রেজা চট্টগ্রাম
একটা ছোট্ট গ্রাম ছিল নদীর তীরে। গ্রামটার নাম মেহেরপুর পুড়ন্তপুর গ্রাম । চারদিক সবুজ ধানের ক্ষেত, কাকের ডাক আর ভোরের কুয়াশা—সব মিলিয়ে যেন ছবির মত শান্ত পরিবেশ।
এই গ্রামে থাকত রাজন নামের এক যুবক। সে ছিল গ্রামের সবচেয়ে হাসিখুশি মানুষ। ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে খেলা করা, নদীর ধারে বসে গান গাওয়া, আর বন্ধুদের সাথে মজা—এটাই ছিল তার প্রতিদিনের অভ্যাস। কিন্তু রাজনের মনে ছিল এক গোপন স্বপ্ন—গ্রামটাকে সবাই যেন চিনে, ভালোবাসে, আর গ্রামের মানুষ যেন সুখে-শান্তিতে থাকে।
একদিন গ্রামের মেলায় বড় আয়োজন হল। সবাই নিজেদের হাতের তৈরি জিনিসপত্র নিয়ে এল। রাজন সিদ্ধান্ত নিল, সে একটা ছোট প্রদর্শনী করবে—যেখানে থাকবে গ্রামবাসীর তৈরি কাপড়, হাঁড়ি-পাতিল, বাঁশের জিনিস আর রঙিন ছবি। তার বার্মিজ কাপড়ও ছিল সবার নজর কাড়ার মতো সুন্দর।
মেলার দিন ভিড় লেগে গেল। দূর দূর থেকে মানুষ এল দেখতে। রাজনের স্টলটা হয়ে উঠল মেলার সবচেয়ে জমজমাট জায়গা। সবাই শুধু কাপড় কিনল না, গ্রামটার সৌন্দর্যের প্রেমেও পড়ে গেল।
ধীরে ধীরে মেহেরপুর পুড়ন্তপুর গ্রামটা বিখ্যাত হয়ে উঠল। পর্যটক আসতে লাগল, নতুন দোকান খুলল, মানুষ কাজ পেল। রাজনের স্বপ্ন ধীরে ধীরে সত্যি হয়ে গেল।
সন্ধ্যায় নদীর ধারে বসে রাজন হেসে বলল,
“যে স্বপ্ন নিজের জন্য না, সবার জন্য হয়—সেই স্বপ্নই সত্যি হয়।”