মোঃ ইকরামুল হক রাজিব
বিশেষ প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোংলায় অবিশ্বাস্য কায়দায় প্রতারণা, চুরি আর ডাকাতির নাটক মঞ্চস্থ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীরা। বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ার তালুকদারের ট্রলার, জালসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল এবং নগদ ৯২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে রাতের আঁধারে সটকে পড়েছে আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান হাওলাদার ও তার ছেলে ফরহাদ হাওলাদার। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সুন্দরবন ইউনিয়ন বাঁশতলা গ্রামের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিএনপি নেতা আনোয়ার তালুকদার সম্প্রতি পরিচিতজন জেলে সরদার আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান হাওলাদারকে দাদন হিসেবে নগদ ৯২ হাজার টাকা, একটি ট্রলার, ইলিশ ধরার জালসহ আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকার সম্পদ দিয়ে সাগরে মাছ ধরতে পাঠান।
অভিযোগ অনুযায়ী, মতিউর হাওলাদার, তার ছেলে ফরহাদ হাওলাদার এবং সহযোগী ফয়সাল মল্লিকসহ আরও কয়েকজন মিলে গত ৪ আগস্ট সাগরে যায়। পরে স্থানীয়ভাবে খবর পাওয়া যায়, তারা প্রায় ২ লক্ষ টাকার ইলিশ মাছ ধরেছে। কিন্তু মাছ নিয়ে কিনারায় না ফিরে পরিকল্পিতভাবে ট্রলারসহ অজ্ঞাত স্থানে উধাও হয়ে যায়।
পরে অভিযোগকারী আনোয়ার জানতে পারেন, তারা রামপালে সহযোগী ফয়সাল মল্লিকের বাড়িতে অবস্থান করছে। কিন্তু যোগাযোগ করতে গেলে বিবাদীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং খুন-জখমের হুমকি পর্যন্ত দেয়।
স্থানীয়রা বলছেন, “সরকারদলীয় পরিচয়ের কারণে এরা দিনের আলোয় প্রকাশ্যে চুরি-ডাকাতি করেও বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ভুক্তভোগী আনোয়ার তালুকদার বলেন, “এটি সরাসরি প্রতারণা, চুরি আর ডাকাতির ঘটনা। তারা আমার আস্থা ভেঙে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আনোয়ার তালুকদার। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনিসুর রহমান আমার দেশকে এ বিষয়ে বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, আওয়ামী লীগ নেতাদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় কঠোর আইনগত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে।