ইরাবতীর চিঠি
——————–
মনের ডাকঘরে ইরাবতীর চিঠি
আসবে বলে মুখিয়ে থাকি দিনভর,
চিঠির বর্ণমালা যেনো প্রেমের রসে থাকবে ঠাসা
বন্ধনে স্পন্দনে আর আনন্দ হিল্লোলে
চিঠিটি পড়বো যে বারংবার
ইরাবতীর নরম হাতের স্পর্শ থাকবে যে তাতে।
দিন গড়িয়ে সাঁঝের আভা উঠলো ফুটে
তবুও এলোনা ইরাবতীর চিঠি —-
আমিও কচ্ছপ গতিতে ডাকঘর থেকে করলাম প্রস্থান,
আজ না আগামীকাল চিঠির অপেক্ষায়
থাকবো যে রত ——-।
অবশেষে মনের ডাকঘরে প্রেমঘন্টার আওয়াজে
নেচে উঠলো অন্তর, এলো সবুজ কাগজে
লাল কালিতে লেখা ইরাবতীর চিঠি পড়লো নজরে
আমিও কাব্যের দোলনায় দুলতে দুলতে
চিঠি পাঠ করলাম শুরু ——।
হে কাব্যের নায়ক, আছো কেমন?
আমার দেওয়া কালো গোলাপটি সাজিয়ে রেখেছো
কি তোমার মনের ফুলদানিতে?
ফুলটির লাবণ্যতা যতবারই হারাবে ততবারই
প্রেমের ঢেউ উঠবে আমার বুকে ইছামতীর জলে।
নীরবে নিরাকার হয়ে তুমি যে আমার
মনের জানালার কার্নিসে প্রেমের আলো
হয়ে ফুটে উঠবে ———-।
গতকাল তোমার লেখা কালজয়ী ” প্রেমের সুনামি”
উপন্যাস পাঠ আন্তে চোখ থেকে কুশিয়ারা নদীর
জল যে গেছে বয়ে।
কলমযোদ্ধা হয়ে কাব্য সৃজন করতে করতে
নাওয়া খাওয়া হয়তো গেছো ভুলে —
তোমার ভঙ্গুর শরীর দেখে লাগে মায়া
শরীর যতনে হও যে তৎপর,
আমি তো আছি ছায়া প্রেম হয়ে প্রতিক্ষণে।
অধিক রাত করবে না জাগরণ
তোমার ইরাবতীর শতভাগ রইলো যে বারণ,
স্মৃতির এ্যালবামের মোড়ে মোড়ে দেখা হবে আবার
চলনবিলের পাখির ঝাঁকে তোমায় নিয়ে যাবো মিশে
তুমি গা ভেজা গাঙচিল হয়ে আসবে কাছে
আমি সবুজ শাড়ির আঁচলে তোমার
ক্লান্ত কায়া দিবো মুছে ——।
ভালো থেকো হে কাব্যের নায়ক
-ইতি তোমার প্রেম সারথি ইরাবতী।