স্টাফ রিপোর্টার
গংগাচড়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯৩৫০ হেক্টর। সরকারের প্রণোদনা কার্যক্রম ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গংগাচড়ার কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শে এবছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোট ১৯৩৫৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। এ বছর আমন মৌসুমে মোট ২৭০০ জন কৃষককে প্রণোদনের আওতায় পাঁচ কেজি করে মানসম্মত উচ্চ ফলনশীল ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়েছে। ফলে মোট ৩৬১ হেক্টর জমি আমন প্রণোদনার আওতায় এসেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গঙ্গাচড়ার মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত তদারকি ও কারিগরি সহায়তার কারণে কৃষকরা এ মৌসুমে ভালো ফলনের প্রত্যাশা করছেন। নবনীদাস ব্লকের কৃষক আলম মিয়া ও নরেশ চন্দ্র সরকার বলেন 'এ বছর আমরা কৃষি অফিস থেকে সময়মত বীজ ও সার পেয়েছি, বীজের মান ভালো হওয়ায় ফলনও ভালো পাওয়ার আশা করছি'।
গংগাচড়া উপজেলায় বর্তমানে ২৭টি ব্লকে উদ্বুদ্ধকরনের মাধ্যমে সুপারফুড হিসেবে পরিচিত সজিনা কে আরও জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে ''সজিনা গ্রাম সৃজন'' কার্যক্রম, এ মৌসুমে মরিচের চাহিদা পূরণে মোট ৫৪০টি পরিবারে বস্তায় মরিচ চাষ, ১৩৫ টি পরিবারে মানসম্মত কেঁচো সার উৎপাদন ও খামারি এপ্স ব্যবহারের মাধ্যমে সুষমসার প্রয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এছাড়াও গংগাচড়ার ১৮ টি আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণে সবজী বীজ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
আসন্ন রবি মৌসুমে তামাক চাষ নিরুৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে তামাকের পরিবর্তে সম্ভাবনাময় লাভজনক ফসলের সুনির্দিষ্ট প্রণোদনা প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিসারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বৃন্দ এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহায়তায় কৃষকরা মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত কারিগরি সহায়তা পাচ্ছেন এবং উদ্যোগী উদ্যোমী কৃষকদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। কৃষি অফিসের সার্বিক তৎপরতায় কৃষকের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটছে এবং ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়ছে।