সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ বেলকুচি থানা ধীন সদর ইউনিয়ন ছোটবেড়াখারুয়া গ্রামে মো: কামাল মির্জার ছেলে, মো: নাসির উদ্দিন মির্জার দ্বিতীয় স্ত্রীরীর সাথে এক বছরের প্রেম চলছিল তাঁর আপন নানার সাথে এমন অভিযোগ করেন নাসির উদ্দিন।
নাসির উদ্দিন মির্জা মুঠোফোনের মাধ্যমে সাংবাদিক কে বলেন, আমি গত দুই থেকে আড়াই মাস আগে শাহজাদপুর উপজেলায় বিয়ে করি ।বিয়ের পর থেকে আমার স্ত্রী আমার সাথে ভালো করে কথা বলে না।আমিও হঠাৎ ২-১০-২০২৫ ইং রোজ বৃহস্পতিবার রাতে আমার স্ত্রীকে বলি তুমি আমার সাথে এমন ব্যবহার করছ কেন তোমার কারো সাথে সম্পর্ক আছে নাকি। তোমার যদি কারো সাথে সম্পর্ক আছে নাকি, তাহলে বল আমি তোমাকে তার হাতে তুলে দিবো, কিছুক্ষণ পর আমার স্ত্রী তার নানার নাম বলে। আমি কৌশলে পরের দিন আমার নানা শ্বশুরকে আমাদের বাড়িতে ফোন করে দাওয়াত দেই আমাদের বাড়িতে আসার জন্য। নানা শশুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সম্মতি জানান যে আমার সাথে ওর এক বছরের সম্পর্ক আছে। পরে আমার বাবা এবং আমি রাগান্বিত হয়ে আমার নানা শশুরকে লাঠি দিয়ে মারধর করি।
তিনি আরো বলেন, ঘটনা যখন এলাকাবাসী জানতে পারে। তখন আমার শশুর কে ফোন দেই দিয়া আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি। এবং রাতে আমার শ্বশুরের কাছে আমার নানা শ্বশুরকে তার কাছে পাঠিয়ে দেই। আমার স্ত্রী এখন আমার বাড়িতেই আছে।
এ বিষয়ে নাসিরের আব্বা কামাল মির্জার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে ব্যর্থ হই।
এই বিষয়ে ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মতিন ফকির বলেন, আজ দুপুর ২ টার দিকে নাসির আমাকে ডেকে নিয়ে যায় তাদের বাড়িতে। নাসিরের নানা শ্বশুর কে বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসে ব্যধর মারধর দেয়। ওখানে যাইয়া দেখি নাসিরের নানা নাসিরের শ্বশুরবাড়ি কোন অভিভাবক না থাকায় আমি কামাল মির্জাকে বলে আছি যে অভিভাবক আসতে বলো । তারপর আমার বাড়িতে চলে আছি। রাতে লোকমুখে শুনতে পাইলাম নাসিরের নাকি শ্বশুর আসছিল কিন্তু আমাদেরকে না জানিয়েই থানায় জমা দেওয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে কিনা আমি জানিনা।
এ বিষয়ে নানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে কিছু টাকা চেয়েছিল নাতীন জামাই। আমি দিতে পারিনাই দেখে মনে হয় আমার মান সম্মান নিয়ে খেললো। আমার মারধর করে এবং মিথ্যা কথা বলাতে বাধ্য করে নাসির সহ কয়েকজন। আমি আল্লাহ কাছে বিচার দিলাম। তিনিই একমাত্র সঠিক বিচার করবে।