মাহফুজুর রহমান মোর্শেদ
প্রতিবেদক:আলীকদম বান্দরবান।
পার্বত্য চট্টগ্রামের নাগরিক পরিষদ ও সর্বস্তরের জনগণ আগামী ১৩ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতালের ডাক দিয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, বৈষম্য ও প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই হরতাল পালিত হবে।
হরতালের ঘোষণায় বলা হয়,
“পার্বত্য এলাকার সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে”—এই স্লোগান নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দাবিসমূহ:
১. ব্রিটিশ রচিত ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিল করে সংবিধানের আলোকে তিন পার্বত্য জেলায় নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
২. জমি ক্রয়-বিক্রয়, চাকরি, শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক রাজার সনদ এর অধ্যাদেশ বাতিল করতে হবে।
৩. রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান — এই তিন পার্বত্য জেলায় জমি ক্রয়-বিক্রয়ে ৬১ জেলার মত ভূমি ব্যবস্থাপনা পৃথকভাবে চালু করতে হবে।
৪. বাজার ফান্ডের লীজ প্লটের মেয়াদ ৯৯ বছরের করা ও বন্ধ ব্যাংক ঋণ পুনরায় চালু করতে হবে।
৫. পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব ইটভাটাসহ, ইকোট্যুরিজম, কলকারখানা ও শিল্প উদ্যোগ গড়ে তুলতে হবে।
৬. আইনশৃঙ্খলা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে তিন পার্বত্য জেলায় ২৪ ঘণ্টা সেনা টহল ও সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করতে হবে।
৭. অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে চাঁদাবাজি, গুম, খুন, ধর্ষণ ও সন্ত্রাস দমনে তিন পার্বত্য জেলায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সংগঠনটি হরতাল সফল করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সহযোগিতার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর চেয়ারম্যান কাজী মজিবুর রহমান আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, “দেশপ্রেম, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন”—এই তিন মূল নীতির ওপর ভিত্তি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ আন্দোলন পরিচালনা করছে।
সূত্র: পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও সর্বস্তরের জনসাধারণের ঘোষণাপত্র।