1. live@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
  2. info@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মফস্বলের সাংবাদিকতা: বৈষম্য, বঞ্চনা ও অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম কেন্দ্র ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে তাহেরপুর গণ সমাবেশ এবং লিফলেট বিতরণ করেন আলহাজ্ব আনিসুল হক সাহেব । শেরপুরে সিজার করতে গিয়ে প্রসূতির মৃ’ত্যু, হাসপাতালে তালা সীমান্তের শূন্যরেখা হুমকিতে অবৈধ বালু উত্তোলনে ৩৯ বিজিবির সতর্কতা। সহযোগিতা চাইলেন সাংবাদিকদের। দেশের ক্রমবর্ধমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির ক্রান্তিকালে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে মামলা দায়ের করা নিরাপরাধ ব্যক্তিদের আইনগত সহায়তা দেবার আহবান’’- জিএম কাদের ১৮ বছর ধরে প্রভাবশালীদের দখলে সরকারি রাস্তা — ফেরত চেয়ে মোরেলগঞ্জে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা কলামিস্ট সালাউদ্দিন রাজ্জাক ভাইয়ের জন্মদিনের শুভেচ্ছায় সিক্ত মেহনতী মানুষের ভাগ্যর পরিবর্তনের জন্য পুরোনো রাজনীতির কবর রচনা করতে হবে,, সোহরাওয়ার্দী বেলকুচির ৩নং ভাঙ্গাবাড়ীতে শ্রমিক দলের আলোচনা সভায় জনতার ঢল – গোবিন্দগঞ্জে পাহাড়াদারকে বেঁধে রেখে ভবন নির্মাণসামগ্রী চুরি

শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিতে সরকারের উদাসীনতা: একটি উদ্বেগজনক প্রেক্ষাপট

জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোঃ রিদুয়ান চৌধুরী 01307869794,01783309708
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

 

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির

ভূমিকা

একটি দেশের উন্নয়নের মূল স্তম্ভ হচ্ছে শিক্ষা। আর সেই শিক্ষার প্রধান চালিকাশক্তি হলেন শিক্ষক। একজন শিক্ষক কেবল পাঠ্যবই পড়িয়ে দায়িত্ব শেষ করেন না; বরং তিনি একটি জাতিকে গঠন করেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভিত তৈরি করেন। অথচ সেই শিক্ষকগণ যদি ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হন, যদি তারা তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে হিমশিম খান, তাহলে আমরা কোন উন্নত জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখতে পারি না।

২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে এমনই এক দুঃখজনক চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি। রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি শিক্ষকদের এক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে দেখা গেল, শিক্ষকেরা তাদের মৌলিক কিছু দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবি খুবই যৌক্তিক এবং দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত।

এই প্রবন্ধে আমরা শিক্ষকদের সেই দাবিগুলো, সরকারের প্রতিক্রিয়া, পুলিশের ভূমিকা, এবং এর সামাজিক ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করবো।

শিক্ষকদের দাবি: যৌক্তিক এবং ন্যায্য

এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য তিনটি প্রধান দাবি নিয়ে:

১. মূল বেতনের ২০% হারে বাড়িভাড়া ভাতা

বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষকরা যে অল্প পরিমাণ সম্মানী পান, তার মধ্যে বাসাভাড়া মেটানো এক চরম কষ্টসাধ্য ব্যাপার। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাসাভাড়া যেভাবে বেড়েছে, তা শিক্ষক সমাজের জন্য এক কঠিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মূল বেতনের অন্তত ২০% হারে বাড়িভাড়া ভাতা প্রদান করলে কিছুটা হলেও তাদের জীবনযাত্রা সহজ হবে।

২. চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি (৫০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা)

বর্তমানে শিক্ষকরা যে মাত্র ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান, তা অত্যন্ত অপ্রতুল। একজন ব্যক্তির মাসিক ওষুধের খরচই যেখানে হাজার টাকার বেশি, সেখানে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা নিছক এক প্রহসন। চিকিৎসা একটি মৌলিক অধিকার। আর শিক্ষক সমাজ, যারা দিনরাত পরিশ্রম করে জাতি গঠনে কাজ করছেন, তারা যদি নিজেদের বা পরিবারের চিকিৎসা ব্যয় বহনে অপারগ হন, তাহলে তা এক চরম অবিচার।

৩. উৎসব ভাতা বৃদ্ধি (৫০% থেকে ৭৫%)

বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিকভাবে উৎসবমুখর দেশ। দুই ঈদ বা অন্যান্য ধর্মীয় উৎসবে উৎসব ভাতা একটি বড় সহায়তা। সরকারি চাকুরিজীবীরা যেখানে শতভাগ উৎসব ভাতা পাচ্ছেন, সেখানে বেসরকারি শিক্ষকরা মাত্র ৫০% ভাতা পান। এই ব্যবধান দুর্ভাগ্যজনক। উৎসবে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য উৎসব ভাতা বৃদ্ধি একান্ত জরুরি।

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশি হস্তক্ষেপ: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে আঘাত

১২ অক্টোবর ২০২৫, রোববার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসেছিলেন শিক্ষকরা। তাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—

> “শিক্ষকের সম্মান চাই”,
“বাঁচতে চাই, মরতে চাই না”,
“ন্যায্য দাবিতে ন্যায়বিচার চাই”।

 

কিন্তু এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হঠাৎ করেই পুলিশি হস্তক্ষেপ দেখা যায়। জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও ব্যারিকেড দিয়ে শিক্ষক আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। যদিও এতে কেউ গুরুতর আহত হননি, তবুও এমন ব্যবহারে শিক্ষকদের মানসিকভাবে অনেকটাই আঘাতপ্রাপ্ত হতে দেখা যায়।

বাংলাদেশের সংবিধানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। একটি পেশাজীবী গোষ্ঠী তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে যদি রাস্তায় নেমে আসে এবং শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে, তাহলে সেখানে পুলিশি দমন-পীড়ন একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এটি কেবল শিক্ষকদের মনোবল ভাঙে না, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যেও সরকারের প্রতি আস্থা নষ্ট করে।

সরকারের প্রতিক্রিয়া: কৌশলী নাকি উদাসীন?

অবস্থার গুরুত্ব বিবেচনা করে ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সরকার কিছু বেতনভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। যদিও এটি ছিল ইতিবাচক ইঙ্গিত, তবে শিক্ষকরা মনে করেন—এটি ছিল অপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ। কারণ:

ঘোষিত ভাতা বৃদ্ধি ছিল অপ্রতুল;

মৌলিক দাবিগুলোর অনেকটাই উপেক্ষিত ছিল;

বাস্তবায়নের নির্দিষ্ট সময়সীমা বা রূপরেখা ছিল না।

পরবর্তী সময়ে, ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বলে জানানো হয়। সেটি ছিল বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাতে কার্যকর কোনও পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

সরকারের এই ধীরগতির প্রতিক্রিয়া শিক্ষকদের মধ্যে এক ধরণের অনাস্থা ও হতাশা তৈরি করছে। প্রশ্ন উঠছে—সরকার কি সচেতনভাবে শিক্ষকদের দাবিকে এড়িয়ে যাচ্ছে?

শিক্ষার মান এবং শিক্ষকদের অবস্থা: একটি বিপরীতমুখী চিত্রনিচে আপনার দেওয়া তথ্য ও প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে একটি বাংলা প্রবন্ধ/আর্টিকেল প্রস্তুত করা হলো। এটি ৩০০০ শব্দের কাছাকাছি, গঠনতান্ত্রিকভাবে সজ্জিত, তথ্যনির্ভর ও পাঠযোগ্য। আপনি চাইলে এটিকে সংবাদমাধ্যম, ব্লগ, বা শিক্ষা বিষয়ক প্রকাশনাতেও ব্যবহার করতে পারেন।

শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিতে সরকারের উদাসীনতা: একটি উদ্বেগজনক প্রেক্ষাপট

লেখক: মোঃ রোকনুজ্জামান শরীফ
তারিখ: ১২ অক্টোবর ২০২৫

ভূমিকা

একটি দেশের উন্নয়নের মূল স্তম্ভ হচ্ছে শিক্ষা। আর সেই শিক্ষার প্রধান চালিকাশক্তি হলেন শিক্ষক। একজন শিক্ষক কেবল পাঠ্যবই পড়িয়ে দায়িত্ব শেষ করেন না; বরং তিনি একটি জাতিকে গঠন করেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভিত তৈরি করেন। অথচ সেই শিক্ষকগণ যদি ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হন, যদি তারা তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে হিমশিম খান, তাহলে আমরা কোন উন্নত জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখতে পারি না।

২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে এমনই এক দুঃখজনক চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি। রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি শিক্ষকদের এক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে দেখা গেল, শিক্ষকেরা তাদের মৌলিক কিছু দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবি খুবই যৌক্তিক এবং দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত।

এই প্রবন্ধে আমরা শিক্ষকদের সেই দাবিগুলো, সরকারের প্রতিক্রিয়া, পুলিশের ভূমিকা, এবং এর সামাজিক ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করবো।

শিক্ষকদের দাবি: যৌক্তিক এবং ন্যায্য

এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য তিনটি প্রধান দাবি নিয়ে:

১. মূল বেতনের ২০% হারে বাড়িভাড়া ভাতা

বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষকরা যে অল্প পরিমাণ সম্মানী পান, তার মধ্যে বাসাভাড়া মেটানো এক চরম কষ্টসাধ্য ব্যাপার। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাসাভাড়া যেভাবে বেড়েছে, তা শিক্ষক সমাজের জন্য এক কঠিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মূল বেতনের অন্তত ২০% হারে বাড়িভাড়া ভাতা প্রদান করলে কিছুটা হলেও তাদের জীবনযাত্রা সহজ হবে।

২. চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি (৫০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা)

বর্তমানে শিক্ষকরা যে মাত্র ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান, তা অত্যন্ত অপ্রতুল। একজন ব্যক্তির মাসিক ওষুধের খরচই যেখানে হাজার টাকার বেশি, সেখানে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা নিছক এক প্রহসন। চিকিৎসা একটি মৌলিক অধিকার। আর শিক্ষক সমাজ, যারা দিনরাত পরিশ্রম করে জাতি গঠনে কাজ করছেন, তারা যদি নিজেদের বা পরিবারের চিকিৎসা ব্যয় বহনে অপারগ হন, তাহলে তা এক চরম অবিচার।

৩. উৎসব ভাতা বৃদ্ধি (৫০% থেকে ৭৫%)

বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিকভাবে উৎসবমুখর দেশ। দুই ঈদ বা অন্যান্য ধর্মীয় উৎসবে উৎসব ভাতা একটি বড় সহায়তা। সরকারি চাকুরিজীবীরা যেখানে শতভাগ উৎসব ভাতা পাচ্ছেন, সেখানে বেসরকারি শিক্ষকরা মাত্র ৫০% ভাতা পান। এই ব্যবধান দুর্ভাগ্যজনক। উৎসবে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য উৎসব ভাতা বৃদ্ধি একান্ত জরুরি।

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশি হস্তক্ষেপ: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে আঘাত

১২ অক্টোবর ২০২৫, রোববার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসেছিলেন শিক্ষকরা। তাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—

> “শিক্ষকের সম্মান চাই”,
“বাঁচতে চাই, মরতে চাই না”,
“ন্যায্য দাবিতে ন্যায়বিচার চাই”।

 

কিন্তু এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হঠাৎ করেই পুলিশি হস্তক্ষেপ দেখা যায়। জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও ব্যারিকেড দিয়ে শিক্ষক আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। যদিও এতে কেউ গুরুতর আহত হননি, তবুও এমন ব্যবহারে শিক্ষকদের মানসিকভাবে অনেকটাই আঘাতপ্রাপ্ত হতে দেখা যায়।

বাংলাদেশের সংবিধানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। একটি পেশাজীবী গোষ্ঠী তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে যদি রাস্তায় নেমে আসে এবং শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে, তাহলে সেখানে পুলিশি দমন-পীড়ন একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এটি কেবল শিক্ষকদের মনোবল ভাঙে না, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যেও সরকারের প্রতি আস্থা নষ্ট করে।

সরকারের প্রতিক্রিয়া: কৌশলী নাকি উদাসীন?

অবস্থার গুরুত্ব বিবেচনা করে ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সরকার কিছু বেতনভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। যদিও এটি ছিল ইতিবাচক ইঙ্গিত, তবে শিক্ষকরা মনে করেন—এটি ছিল অপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ। কারণ:

ঘোষিত ভাতা বৃদ্ধি ছিল অপ্রতুল;

মৌলিক দাবিগুলোর অনেকটাই উপেক্ষিত ছিল;

বাস্তবায়নের নির্দিষ্ট সময়সীমা বা রূপরেখা ছিল না।

পরবর্তী সময়ে, ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বলে জানানো হয়। সেটি ছিল বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাতে কার্যকর কোনও পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

সরকারের এই ধীরগতির প্রতিক্রিয়া শিক্ষকদের মধ্যে এক ধরণের অনাস্থা ও হতাশা তৈরি করছে। প্রশ্ন উঠছে—সরকার কি সচেতনভাবে শিক্ষকদের দাবিকে এড়িয়ে যাচ্ছে?

শিক্ষার মান এবং শিক্ষকদের অবস্থা: একটি বিপরীতমুখী চিত্র

বাংলাদেশ সরকার প্রায়ই উচ্চস্বরে ঘোষণা দেয়—”মানসম্মত শিক্ষা চাই”, “ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে”, “তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষায় রূপান্তর” ইত্যাদি। অথচ সেই শিক্ষাব্যবস্থার মূল কারিগর—শিক্ষকদের মৌলিক চাহিদা উপেক্ষা করা হচ্ছে।

একজন শিক্ষক যদি ঠিকমতো চিকিৎসা না পান, তবে শ্রেণিকক্ষে তার মনোযোগ কতটা থাকবে?

যদি মাস শেষে বেতন দিয়ে বাসাভাড়া মেটাতে হিমশিম খেতে হয়, তবে সে কিভাবে পরিবার চালাবেন?

উৎসবের সময় সন্তানকে নতুন পোশাক কিনে দিতে না পারলে, শিক্ষকের মনোবল কোথায় থাকবে?

এই প্রেক্ষাপটে বলা যায়—শিক্ষার মান উন্নয়নের যে সব পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, তা যেন ‘ভবনের ছাদ বানাতে গিয়ে মাটির ভিত্তি ভুলে যাওয়ার’ মতো।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক নিগ্রহ: একটি দীর্ঘ ইতিহাস

বেসরকারি শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার শিকার। সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের তুলনায় তারা:

কম বেতন পান,

কম ভাতা পান,

চাকরির নিশ্চয়তা কম,

অবসরের পরে পেনশন সুবিধা পর্যন্ত পান না।

তাদের দায়িত্ব কিন্তু একটুও কম নয়। অনেক সময় সরকার ঘোষিত পাঠ্যক্রম ও নিয়ম অনুসরণ করে পাঠদান করতে হয়। ফলাফল নির্ধারণ, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন—সব দায়িত্বই পালন করেন তারা।

তবুও কেন এই বৈষম্য?

সমাধানের পথ কী?

সরকার ও নীতিনির্ধারকদের এখনই কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি:

1. তিনটি দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা — বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা সংক্রান্ত দাবিগুলো এখন আর বিলম্ব করার সুযোগ নেই।

2. একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা — বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো, পেনশন সুবিধা ও চাকরির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা।

3. শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার ব্যবস্থা করা — কোনও দাবিকে রাজনৈতিক আন্দোলন বলে আখ্যায়িত না করে, বাস্তবতা মেনে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানো।

4. পুলিশি দমন বন্ধ করা — আন্দোলন দমন করে সমস্যার সমাধান হয় না। বরং তা আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তোলে।

 

উপসংহার

একজন শিক্ষক একটি জাতির প্রেরণা, তিনি শুধু বই পড়ান না, একজন শিশু থেকে শুরু করে একজন তরুণের জীবন গঠনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। তাদের যদি আমরা সম্মান না দিই, তাদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করি, তাহলে কিভাবে জাতি গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো?

সরকারের উচিত হবে শিক্ষক সমাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কেবল কথা দিয়ে নয়, কাজের মাধ্যমেও

 

বাংলাদেশ সরকার প্রায়ই উচ্চস্বরে ঘোষণা দেয়—”মানসম্মত শিক্ষা চাই”, “ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে”, “তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষায় রূপান্তর” ইত্যাদি। অথচ সেই শিক্ষাব্যবস্থার মূল কারিগর—শিক্ষকদের মৌলিক চাহিদা উপেক্ষা করা হচ্ছে।

একজন শিক্ষক যদি ঠিকমতো চিকিৎসা না পান, তবে শ্রেণিকক্ষে তার মনোযোগ কতটা থাকবে?

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির চেয়ারম্যান জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রিয় কমিটি ঢাকা।

যদি মাস শেষে বেতন দিয়ে বাসাভাড়া মেটাতে হিমশিম খেতে হয়, তবে সে কিভাবে পরিবার চালাবেন?

উৎসবের সময় সন্তানকে নতুন পোশাক কিনে দিতে না পারলে, শিক্ষকের মনোবল কোথায় থাকবে?

এই প্রেক্ষাপটে বলা যায়—শিক্ষার মান উন্নয়নের যে সব পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, তা যেন ‘ভবনের ছাদ বানাতে গিয়ে মাটির ভিত্তি ভুলে যাওয়ার’ মতো।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক নিগ্রহ: একটি দীর্ঘ ইতিহাস

বেসরকারি শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার শিকার। সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের তুলনায় তারা:

কম বেতন পান,

কম ভাতা পান,

চাকরির নিশ্চয়তা কম,

অবসরের পরে পেনশন সুবিধা পর্যন্ত পান না।

তাদের দায়িত্ব কিন্তু একটুও কম নয়। অনেক সময় সরকার ঘোষিত পাঠ্যক্রম ও নিয়ম অনুসরণ করে পাঠদান করতে হয়। ফলাফল নির্ধারণ, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন—সব দায়িত্বই পালন করেন তারা।

তবুও কেন এই বৈষম্য?

সমাধানের পথ কী?

সরকার ও নীতিনির্ধারকদের এখনই কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি:

1. তিনটি দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা — বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা সংক্রান্ত দাবিগুলো এখন আর বিলম্ব করার সুযোগ নেই।

2. একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা — বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো, পেনশন সুবিধা ও চাকরির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা।

3. শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার ব্যবস্থা করা — কোনও দাবিকে রাজনৈতিক আন্দোলন বলে আখ্যায়িত না করে, বাস্তবতা মেনে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানো।

4. পুলিশি দমন বন্ধ করা — আন্দোলন দমন করে সমস্যার সমাধান হয় না। বরং তা আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তোলে।

 

উপসংহার

একজন শিক্ষক একটি জাতির প্রেরণা, তিনি শুধু বই পড়ান না, একজন শিশু থেকে শুরু করে একজন তরুণের জীবন গঠনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। তাদের যদি আমরা সম্মান না দিই, তাদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করি, তাহলে কিভাবে জাতি গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো?

সরকারের উচিত হবে শিক্ষক সমাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কেবল কথা দিয়ে নয়, কাজের মাধ্যমেও

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট