1. live@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
  2. info@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন :
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বেলকুচিতে ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক ছাত্রদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত – নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমেই ছাত্র সমাজকে আগামীর বাংলাদেশ বির্নিমানে কাংখিত ভূমিকা রাখতে হবে। – এমপি পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আলী আলম.- ধর্মপাশায় কৃষি ও আবহাওয়া তথ্য সেবায় প্রান্তিক কৃষকদের সাথে সমন্বয় সভা বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এক কোটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন আনিসুল হক ধানের শীষে ভোট চেয়ে শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম লাকির নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ রামপালে রেলওয়ে স্টেশন চালুর দাবিতে এলাকাবাসীর স্বারকলিপি প্রদান বেলকুচিতে দেলুয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহত ১ জন আহত ১জন – “দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লার সনদ দিয়ে এমপিও বেতন করতে কোন সমস্যা বাধা নেই, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমতি অনুমোদন প্রাপ্ত, সরকারি ভাবে শিক্ষক, প্রভাষক, গ্ৰন্থাগারিক নিয়োগ প্রাপ্তদের তাদের বেতন ও এমপিও পেতে কোন বাধা নেই। ধর্মপাশা উপজেলা নবগঠিত প্রেসক্লাবের দুই বছর মেয়াদি কমিটি গঠিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বেলকুচি উপজেলায় আলোচনা ও নির্বাচনী প্রচারনা সভা অনুষ্ঠিত-

শ্রীবরদীর মালাকোচায় বন্যহাতির তাণ্ডবে নাজেহাল পাহাড়ি কৃষকরা — নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছে ফসল রক্ষায়

জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোঃ রিদুয়ান চৌধুরী 01307869794,01783309708
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

 


এসডি সোহেল রানা, স্টাফ রিপোর্টার:
‎শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা মালাকোচা এলাকায় বন্যহাতির পাল তাণ্ডব চালিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে পাহাড়ি কৃষকদের আবাদি ফসল। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা বন্যহাতির দল আক্রমণ চালায় ধানক্ষেত ও অন্যান্য ফসলের জমিতে। এতে রাতের পর রাত জেগে ফসল পাহারায় থাকতে হচ্ছে কৃষকদের।

‎স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ অঞ্চলে এখন ধান পাকার মৌসুম চলছে। জমিতে ধান পেকে সোনালী রঙ ধারণ করেছে। ঠিক সেই সময় বন্যহাতির দল নেমে এসে ধান খেয়ে ও পিষে ব্যাপক ক্ষতি করছে। প্রায় ১৫ থেকে ২০টি বন্যহাতির একটি পাল নিয়মিতভাবে মালাকোচা ও আশপাশের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে ঢুকে পড়ছে। এতে কৃষকদের সারা বছরের কষ্টের ফসল মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

‎এলাকার কৃষকরা জানান, তারা প্রতিরাতে মশাল, বাঁশের টুকরা, টিন বাজিয়ে, হইচই করে হাতির দলকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন। অনেকে দল বেঁধে রাতভর পাহাড়ের ধারে ও ক্ষেতের চারপাশে অবস্থান নেন। তবুও বন্যহাতিরা ভয় না পেয়ে মাঝেমধ্যে একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ে, ফসল খেয়ে ও পিষে ব্যাপক ক্ষতি করে। এতে কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

‎পাহাড়ি কৃষকরা জানান,

‎ “আমাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন এই ধান চাষ। কিন্তু হাতির দল প্রতিদিনই এসে ফসল খেয়ে যাচ্ছে। রাতজেগে পাহারা না দিলে সব শেষ হয়ে যাবে। এখন ঠিকভাবে ঘুমাতেও পারছি না।”

‎ “আমরা দল বেঁধে রাতভর পাহারা দিচ্ছি। মশাল জ্বালিয়ে ও বাঁশি বাজিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করি। তবুও মাঝে মাঝে একাধিক দিক দিয়ে হাতির দল হঠাৎ আক্রমণ করে বসে।”



‎স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বন্যহাতির তাণ্ডব রোধে বনবিভাগ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। কৃষকরা চায় বন্যহাতিকে ঠেকাতে স্থায়ী বাঁধা ব্যবস্থা, আলোক ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় টহল ব্যবস্থা গড়ে তোলা হোক।

‎শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী এই মালাকোচা এলাকা ভারতীয় পাহাড়ের পাদদেশে হওয়ায় প্রায় প্রতি বছরই বন্যহাতির পাল খাদ্যের সন্ধানে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ফসল নষ্ট করে। কিন্তু এ বছর হাতির তাণ্ডব আগের চেয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

‎এদিকে কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত বন্যহাতি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে এই অঞ্চলের ধান ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে এবং চাষাবাদে নির্ভরশীল শত শত পরিবার মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়বে।

‎স্থানীয় জনগণ ও কৃষক সমাজ বনবিভাগ ও প্রশাসনের নিকট দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে বন্যহাতির তাণ্ডব বন্ধ করে কৃষকের ধান ফসল রক্ষা করা সম্ভব হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট