মোঃ রিদুয়ান চৌধুরী
গণসংযোগকালে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। একইসাথে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন চট্টগ্রাম নগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সরোয়ার বাবলা।
এদিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এরশাদ উল্লাহ বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। তার পেটে একটি গুলি লেগেছিল সেটি অপারেশনের মাধ্যমে বের করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ওয়াজেদিয়া চালিতাতলী পূর্ব মসজিদ এলাকায় গুলিবিদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নগরীর চালিতাতলী এলাকায় গণসংযোগ করতে যান এরশাদ উল্লাহ। সেখানে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হয়ে পুনরায় গণসংযোগকালে এক বন্দুকধারী সরোয়ার বাবলার ঘাড়ে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এর একটি গুলি সরোয়ার বাবলার বুক ছিদ্র করে তার বিপরীতে দাঁড়ানো এরশাদ উল্লাহর পেটে গিয়ে লাগে। পরে এরশাদ উল্লাহর সমর্থকরা তাকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও দীর্ঘক্ষণ মাটিতে পড়ে ছিল সরোয়ার বাবলার মরদেহ।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। আমি হাসপাতালে যাচ্ছি। তবে কারা গুলি করেছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু জানতে পারিনি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে বের করবো।
স্থানীয়দের দাবি, দুর্বৃত্তদের মূল টার্গেট ছিল সরোয়ার বাবলা। মূলত তাকে হত্যা করতেই এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে সরোয়ার বাবলার বাবা দাবি করেন, এরশাদ উল্লাহকে টার্গেট করে এই হামলা করেছে বড় সাজ্জাদ। এরশাদ উল্লাহকে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলে সরোয়ার গুলিবিদ্ধ হন। তার বুকে অন্তত ৮টি গুলি লাগে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, এরশাদ উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক পদেও রয়েছেন।