মাসুদ রানা,পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রভাবশালী একটি পরিবারের কর্মকান্ডে অতিষ্টসহ জিম্মি হয়ে পড়েছেন দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে কানাডা প্রবাসী দুই ভাইসহ এলাকাবাসী। অপতৎপরতার মধ্যে রয়েছে জমি দখল, মারপিট ও হুমকি-ধামকিসহ গুরুতর অপরাধ।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগের পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
শনিবার ( ৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রাম ঘুরে এবং প্রাপ্ত অভিযোগে এসব বিষয় উঠে আসে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা কানাডা প্রবাসি মোঃ সাইদুর রহমান (৬৭) তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তিনি দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে কানাডায় বসবাস করছেন। মাঝেমধ্যে গ্রামের সম্পত্তি দেখভাল করতে গ্রামে আসেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ০৭/০৫/২৫ইং তিনি কানাডা থেকে গ্রামে আসেন।
এদিকে, একই গ্রামের মৃত আজিজল হক শেখ আদার ছেলে মোঃ আঃ হাই (৫৫), মোঃ আঃ রউফ অজু (৬০), মোঃ হবিবর রহমান (৪৮), মোঃ নসিবর রহমান (৩৫)সহ তাদের ছেলে-ভাতিজারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার এলাকাবাসীর জমি দখলসহ মারপিট ও মিথ্যা মামলায় হয়রানী করে আসছে।
একই গ্রামে আসার পর থেকেই বিবাদীরা আমাকে টার্গেট করে নানামুখী অপতৎপরতা শুরু করে। একপর্যায়ে গত ২০/০৬/২০২৫ তারিখ দুপুর পৌনে ২ টার দিকে জুম্মার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এলাকার বাকী শেখ এর চায়ের দোকানের সামনে বিবাদীরা তার পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তাদের নিষেধ করায় আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দেয় যে, দুই ভাইকে বাড়ী হতে বের হতে দিবে না, বের হলে হাত-পা ভাঙাসহ প্রাণে মেরে ফেলবে। তাদের উদ্দ্যশ্য প্রবাসী দুই ভাইয়ের জমিজমা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
সাইদুর রহমানের ছোট ভাই কানাডা প্রবাসী সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিবাদীদের ছেলে-ভাতিজারা
এবই গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন জানান, অভিযুক্তরা তার জমি গায়ের জোরে জবরদখর করেছেন। তারা এতটাই বর্বর যে, আদালতের আদেশ অমান্য করে তার জমি দখল করে রেখেছে। তারা এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষের জীবন অতিষ্ট করে ফেলেছে। তাদের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
এলাকার আতঙ্কে পরিণত প্রভাবশালী পরিবারটির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ সরকারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী ভুট্টু বলেন,কানাডা প্রবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। আজ অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।