1. live@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
  2. info@www.dainikbangladeshpratidin.online : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন :
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নকলায় ভ্রাম্যমান আদালতে ৩ বেকারির মালিককে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা বেলকুচিতে ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক ছাত্রদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত – নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমেই ছাত্র সমাজকে আগামীর বাংলাদেশ বির্নিমানে কাংখিত ভূমিকা রাখতে হবে। – এমপি পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আলী আলম.- ধর্মপাশায় কৃষি ও আবহাওয়া তথ্য সেবায় প্রান্তিক কৃষকদের সাথে সমন্বয় সভা বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এক কোটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন আনিসুল হক ধানের শীষে ভোট চেয়ে শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম লাকির নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ রামপালে রেলওয়ে স্টেশন চালুর দাবিতে এলাকাবাসীর স্বারকলিপি প্রদান বেলকুচিতে দেলুয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহত ১ জন আহত ১জন – “দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লার সনদ দিয়ে এমপিও বেতন করতে কোন সমস্যা বাধা নেই, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমতি অনুমোদন প্রাপ্ত, সরকারি ভাবে শিক্ষক, প্রভাষক, গ্ৰন্থাগারিক নিয়োগ প্রাপ্তদের তাদের বেতন ও এমপিও পেতে কোন বাধা নেই। ধর্মপাশা উপজেলা নবগঠিত প্রেসক্লাবের দুই বছর মেয়াদি কমিটি গঠিত

“১৫ বছর ধরে ১৫০০ টাকায় চাকরি! কুষ্টিয়ার সুফিয়ার জীবনে বঞ্চনার দীর্ঘ ছায়া”

জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক চেয়ারম্যান সাংবাদিকঃ মোং রিদুয়ান চৌধুরী 01307869794,01783309708
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

 

প্রতিবেদক:
মীর শরিফুল ইসলাম চৌধুরী, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি

প্রতিবেদন:
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুফিয়া খাতুন, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি পাঠাগার ও অডিটোরিয়ামে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ঝাড়ুদার হিসেবে কর্মরত। অথচ আজও তার মাসিক সম্মানী মাত্র ১,৫০০ টাকা! এই দীর্ঘ সময়ে বেতন বাড়েনি একটুও, যা বর্তমান বাজারে ন্যূনতম জীবিকা নির্বাহের জন্যও যথেষ্ট নয়।

সুফিয়া খাতুন বলেন, “বিগত পনেরো বছরে অনেক আবেদন করেছি বেতন বাড়ানোর জন্য। কেউ শোনেনি। এই সামান্য টাকায় সংসার চালানো তো দূরের কথা, এখন চিকিৎসা ও খাদ্যের ব্যবস্থাও করতে পারছি না।”

তার একমাত্র ছেলে কিডনি রোগে আক্রান্ত। একটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে, আরেকটিও ঝুঁকির মুখে। ছেলের চিকিৎসার খরচ বহন করতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব সুফিয়া। প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা, যা সংগ্রহ করা তার পক্ষে অসম্ভব। একমাত্র উপার্জনের আশ্রয় ছিল এই সামান্য বেতনটাই।

স্থানীয়রা জানান, সুফিয়া খাতুন প্রতিদিন যথারীতি পাঠাগার ও অডিটোরিয়ামের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন। বয়স হয়ে গেছে, তবু কাজে কখনো অনিয়ম করেন না।
পাঠাগারের কেয়ারটেকার সৈয়দা আশেকুন নাহার বলেন, “সুফিয়া খাতুন খুবই দায়িত্বশীল কর্মী। এই টাকায় সংসার চালানো অসম্ভব—জেলা পরিষদের উচিত দ্রুত তার বেতন বৃদ্ধি করা।”

কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি। শিগগিরই তার বেতন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এই প্রান্তিক নারী যেন নিঃশব্দে জীবনের ভার বইছেন। তার মতো আরও কত শত সুফিয়া খাতুন হয়তো নিঃশব্দে বঞ্চনার বোঝা বহন করছেন—যাদের দিকে ফিরে তাকানোর এখনই সময়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট