মো: রাসেল মোল্লা
রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ক্লাসে পাঠ বুঝতে না পারায় শিক্ষক পরিবর্তনের আবেদন করায় সপ্তম শ্রেণির প্রায় ৪০ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অন্তত ৪ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনায় অভিভাবকরা মঙ্গলবার সকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিষয়ে কথা বলতে যায়। ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গণমাধ্যম কর্মীরা স্কুলে গেলে কিছু শিক্ষকদের উস্কানিতে সাংবাদিকদের উপর হামলা করে শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুতর আহত হয় বেশ কয়কজন সাংবাদিক। খবর পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ, পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসেন। বিকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে তাৎক্ষনিক বহিস্কার করেন ও ৩ শিক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করেন শিক্ষা অফিসার।
আহত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা জানান,
গত ৫ আগস্টের পর রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চুর প্রভাব খাটিয়ে তার ভাগনে তানভীর আহমেদ মুন্নাকে অফিস সহকারী হিসেবে অবৈধভাবে বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু মুন্না সাম্প্রতিক সময়ে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাস নিতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা তার পাঠ স্পষ্টভাবে বুঝতে না পেরে প্রধান শিক্ষকের কাছে তাকে পরিবর্তনের আবেদন করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তানভির আহমেদ মুন্না ক্লাসে উপস্থিত প্রায় ৪০ শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। ওই মারধোরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তাসরিম, কেয়া, মীম ও তাবাসসুমসহ কয়েকজন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের এমন আচরনের জন্য হতাশা প্রকাশ করেন। শিক্ষকঅভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এই বিষয়ে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
ওবায়দুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় অনুশোচনা করে। শিক্ষার্থীদের উপর কেন শিক্ষক উত্তেজিত হয়েছেন, বুঝতে পারছেন না।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক নুরে আলম বলেন, শ্রেনী কক্ষে শিক্ষার্থীদের মারধোর সংবাদ পেয়েছি। এমনকি সাংবাদিকদের হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। ঘটনা সত্যতা পেয়েছি। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।