ভাঙ্গা (ফরিদপুর)প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের ৫৫ নং আব্দুলাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ওবায়দুর রহমানকে একটি প্রতিপক্ষ মহল দ্বারা মিথ্যা, ঠুনকো অভিযোগে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীর তুচ্ছ বিষয়ের সূত্র ধরে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও নানামুখী হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষককে জনৈক শিক্ষার্থীকে মারধোরের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সালিসের নামে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং টাকা পরিশোধ না করায় নানাভাবে তাকে হয়রানির অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সহ সংবাদ কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার দাবী জানান। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান,ওই বিদ্যালয়ে পাঠদানের সময় বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইসা ইসলাম বুশরা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় হাতের মূল্যায়ন পেপার সিট দিয়ে মৃদু শাসন করা হয়। এতে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয় বলে তার অভিভাবকরা অভিযোগ করেন। গত ২ আগষ্ট ঘটনার জেরে পরে ওই শিক্ষার্থীকে ওইদিন পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হলে ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই শিক্ষক আরও জানান, স্থানীয় রাজনীতির শিকার হয়ে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গত ৩ আগষ্ট শিক্ষকের মারধোরে শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে মর্মে চালিয়ে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর বাবা রফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আবজাল হোসেন সরেজমিন তদন্ত করেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৪ আগষ্ট ওই শিক্ষার্থীর মা স্বর্ণা আক্তার শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে ভাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন জানান। পরে ভাঙ্গা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা প্রীতিশ বিশ্বাস বিষয়টি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে এর আগে আব্দুলাবাদ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্ি্থিততে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই শিক্ষককে চিকিৎসার খরচ বাবদ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আব্দুলাহবাদ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন ,প্রধান সহকারী বোরহান উদ্দিন,শিক্ষক মীর আশরাফ আলী,আব্দুলাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। বৈঠকে ওই শিক্ষককে ধাযর্যকৃত জরিমানা সাতদিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়। এদিকে ওই জরিমানার টাকা না দেওয়ায় ওই শিক্ষককে পূর্ব শত্রুতার জেরে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আব্দুলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,ঘটনাটি নেহাতই একটি তুচ্ছ ঘটনা।দু,পক্ষের মাঝে পূর্বের কোন রেশ আছে। তবে শিক্ষার্থীটি অসুস্থ তাকে কোন প্রকার চাপ না দেওয়া হয়-এটি তার অভিভাবক জানিয়েছিলেন। ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রীতিশ বিশ্বাস বলেন,শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অভিযোগের পর ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ঘটনাটি একেবারেই ক্ষুদ্র।শুনেছি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। পরবর্তীতে ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।