মোঃ হুমায়ুন কবির ক্রাইম রিপোর্টার:
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার বহেরারচালা এলাকার ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নছ মিয়া প্রধানকে ঘিরে সম্প্রতি তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এলাকাবাসীর দাবি, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। অনুসন্ধানে জানা যায়, একটি আর্থিক বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একটি চক্র তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রায় এক মাস আগে আজিজুল হক নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে স্থানীয় যুবক আরজুর লেনদেনজনিত বিরোধ দেখা দেয়। আজিজুলের স্ত্রী তাছলিমার জীবন বীমার টাকা নিয়ে সমঝোতার অংশ হিসেবে আরজুর সাথে এক লাখ টাকার চুক্তি হয়। এর মধ্যে ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও অবশিষ্ট ৪০ হাজার টাকা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের জন্য আজিজুল পক্ষ নছ মিয়া প্রধানের দ্বারস্থ হন।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে নছ মিয়া প্রধান দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে সমঝোতার প্রস্তাব দেন। অবশেষে আজিজুল ২০ হাজার টাকা দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে রাজি হলে সেই টাকা আরজুকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নছ মিয়া প্রধান নিরপেক্ষভাবে সালিশ করেছেন এবং উভয়পক্ষই তখন সন্তুষ্ট ছিল।
কিন্তু কয়েক দিন পর হঠাৎ কিছু স্থানীয় ব্যক্তি সাংবাদিকদের কাছে ভিন্ন তথ্য সরবরাহ করেন। নছ মিয়ার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং স্থানীয় রাজনীতির প্রতিহিংসা থেকেই এ ধরনের প্রচারণা চালানো হয়েছে।
আজিজুল হক এ বিষয়ে বলেন, “নছ মিয়া ভাই আমাদের ন্যায় বিচার করেছেন। আমার কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু মুজিবুরসহ কয়েকজন আমাকে বিভ্রান্ত করে সাংবাদিকদের সামনে মিথ্যা বলতে বাধ্য করেছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুল তথ্য বলিয়েছে। আমি আমার ভুলের জন্য দুঃখিত এবং নছ মিয়া ভাইয়ের কাছে ক্ষমা চাই।”
নছ মিয়া প্রধান দীর্ঘদিন ধরে শ্রীপুর পৌর এলাকায় বিএনপির একজন সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় রাজনীতিতে তার প্রভাব রয়েছে। অসহায় মানুষের পক্ষে দাঁড়ানো এবং সামাজিক সমস্যার সমাধানে তার ভূমিকা এলাকাবাসীর কাছে প্রশংসিত। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিদ্বন্দ্বী একটি গোষ্ঠী তার জনপ্রিয়তাকে সহ্য করতে না পেরে নানা সময়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বহেরারচালা এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, “নছ মিয়া প্রধান সব সময় অসহায় ও গরিব মানুষের পাশে থাকেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে একটি দুষ্টু চক্র তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি অসহায়ের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছেন।”
এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করেছে এলাকাবাসী। তারা বলছেন, সত্য উদঘাটন হলে বোঝা যাবে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন নছ মিয়া প্রধান। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপপ্রচার আরও বাড়বে।