সাইদ গাজী , স্টাফ রিপোর্টার,
ফরিদপুরের সালথায় জমি নিয়ে বিরোধে বিএনপি নেতা ডাঃ জাহিদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৭ আগষ্ট) ভোর রাতে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী গ্রামের ভরপাড়ায় ডাঃ জাহিদের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের এই ঘটনা ঘটে। ডাঃ জাহিদ বল্লভদী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ঐ এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র। এই ঘটনায় ডাঃ জাহিদের পরিবারের ৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বিএনপি নেতা ডাঃ জাহিদ জানায়, প্রতিবেশি কাউছার কাজীর সাথে জমি নিয়ে আমার বিরোধ ছিলো। বিষয়টি নিয়ে সালিস দরবার হয়েছে এবং আমার পক্ষেই সালিস হয়েছে। হটাৎ করে কাউছার কাজীর ভাই হাসান কাজী কাউকে না জানিনে জমির সীমানা নির্ধারণ করে। বাড়িতে আমাদের তেমন কেউ থাকে না। বুধবার ভোর রাত আড়াইটা তিনটার দিকে কাউছার কাজীর ভাই হাসান কাজীর নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের একটি দল আমার বাড়িঘরে হামলা চালায়। ভাংচুরের শব্দ পেয়ে আমরা এগিয়ে গেলে ওরা আমাদের উপর হামলা করে।
হামলায় আমি, আমার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৬০), আমার ছোট ভাই শাহিদুর রহমান (৬০), ভাতিজা বদিউর রহমান (৩৫), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নিপা বেগম আহত হয়। আমার স্ত্রীর অবস্থা গুরুতর। হামলাকারীরা আমার চারটি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ঘরে থাকা বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্য, মৌসুমি ফসল সহ দামী মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় ও ভাংচুর করে। আমার ঘরে থাকা প্রায় শত বছরের পুরোনো একটি সিন্দুক রয়েছে। সেখানে পাঁচটি পরিবারের দামী গহনা ও নগদ অর্থ ছিলো। হামলাকারীরা সিন্দুকের তালা ভেঙ্গে সব নিয়ে যায়। পাকা টয়লেট, গাছপালা কোন কিছুই ওদের হাত থেকে রক্ষা পায় নাই। লুটপাটসহ ওরা আমার প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
তিনি আরও বলেন, কাউছার কাজীর বাবা আওয়ামীলীগের সদস্য ছিলো, ওরা সবাই আওয়ামী সমর্থক। হাসান কাজী আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে আমার বাড়িঘরে হামলা চালায়। আগেও আমাদের উপর জুলুম করেছে, বর্তমানেও আমাদের উপর জুলুম করছে। দেশবাসী, সরকার, পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে এই হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের বিচার চাই এবং লুট হওয়া মালামাল ফেরত চাই। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় আছি, আমি সকলের কাছে আমার জান মালের নিরাপত্তা চাই।
এই বিষয়ে জানতে কাউছার কাজী ও হাসান কাজীর বাড়িতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায় নাই। কাউছার কাজী প্রবাশে থাকেন এবং তার ভাই হাসান কাজী পলাতক রয়েছেন বলে প্রতিবেশীরা জানান। হাসান কাজীর ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ রয়েছে বলেও জানা যায়।
সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, প্রতিবেশীর সাথে জমি নিয়ে তাদের ঝামেলা ছিলো। হামলার খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।