
মোঃ ইকরামুল হক রাজিব
বিশেষ প্রতিনিধি
বাগেরহাটের রামপালে মৎস্য ঘেরের বিরোধ নিয়ে হামলার ঘটানা ঘটেছে। এ বিরোধের জেরে ১৯ অক্টোবর,২০২৫ উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের আঃ মান্নান এর পুত্র জুয়েল বাদী হয়ে হোগলডাঙ্গা গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিনের ছেলে মেহেদি হাসান মিন্টু সহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে রামপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রামপাল থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ ও বাদীর দেয়া তথ্য সূত্রে জানা গেছে যে, বাদী জুয়েল ১২ অক্টোবর , ২০২৫ ইংরেজী তারিখে বিবাদীর উপজেলার কৈগদ্দাশকাঠি এলাকায় দখলীয় একটি মৎস্য ঘের ১৫ লক্ষ টাকায় লীজ নেয় এবং একই তারিখে ভাগা বাজারস্থ বিএনপি’র কাযালয়ে নগদ ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে। এ ছাড়া বাকী ৫লক্ষ টাকা বাদী জুয়েল বিবাদীকে ১৭ অক্টোবর ,২০২৫ তারিখ পরিশোধ করে। এরপর বিবাদী মিন্টু বলে যে, মৎস্য ঘেরের টাকা সে একমাস পরে ফেরৎ দিবে। এই বলে বিবাদী মিন্টু মৎস্য ঘের অন্য লোকের কাছে ২০ লক্ষ টাকায় গোপনে লাগিয়ে দেয় এবং বলে যে, একমাস পরে বাদী জুয়েলকে টাকা ফেরৎ দিবে। বাদী এ কথা মেনে নিয়ে টাকা চাইতে গেলে বিবাদী মেহেদী হাসান মিন্টুর নির্দেশে মৃত আরব আলী লস্কর এর পুত্র সালাম লস্কর, বর্ণী ছায়রাবাদ এলাকার মৃত রব্বান কাজী এর পুত্র জুম্মান, কৈগদ্দাশকাটি এলাকার মৃত লুৎফর ফকিরের পুত্র সাবজান ফকির ও একই এলাকার সাবজান ফকিরের পুত্র রহমাত আলী, কাপাসডাঙ্গা গ্রমের মোসলেম শেখ’র পুত্র হালিম সেখ এবং আলতাফ সেখ’র পুত্র হামিদ সেখ অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এছাড়া তারা বাদী জুয়েল’র মৎস্য ঘেরে থাকা লোকজনের উপরও হামলা চালায়। এ অবস্থায় বাদী স্থানীয় পুলিশ ফাড়িকে খবর দেয় এবং তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বাদী অভিযোগে আরো জানান যে, বিবাদী তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নিয়মিত ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসিতেছে এবং প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করছে। অভিযোগে বাদী আরো বলেন যে, বিবাদী অত্যন্ত চিট প্রকৃতির লোক এবং সে যে কোন সময় তার মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান আতিক জানান যে, এ বিয়য়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং উভয় পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।